মৃত ব্যক্তিদের নামে মামলা করা সরকারের প্রধান কর্মসূচি: রিজভী

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ৯:৪৪ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
মৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সরকারের প্রধান কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মতো এখন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও গায়েবি মামলা চালু করেছে।
এসব মামলায় মৃত মানুষদেরকেও তারা আসামি করছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির গুলিতে নিহতদের পরিবারে যখন শোকের মাতম চলছে তখন নিহতদের নামে আবার মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা অমানবিক।’
রিজভী বলেন, ‘গণবিচ্ছিন্ন এই সরকার বেপরোয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কিছু বলার নৈতিকতা হারিয়ে তাদেরকেই ক্ষমতা রক্ষার শিখণ্ডি মনে করছে। ফলে তারা নিয়ন্ত্রণহীন। যার কারণে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বেআইনি কর্মকাণ্ড চালাতে উৎসাহী হচ্ছে। এখন রক্ষকরাই ভক্ষক হয়ে উঠেছে।’
ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির মামলা প্রসঙ্গে রিজভী অভিযোগ করেন, ‘এই জেলার হরিপুরের বহরপুর ও রুহিয়া গ্রামের ২৭২ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছে বিজিবি। একটি মামলার এজহারের বিজিবির গুলিতে নিহত শিক্ষক নবাব আলী ও কৃষক সাদেক আলীরও নাম রয়েছে। ভয়ে আতঙ্কে এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকা। রক্ষকরাই এখন ভক্ষক হয়ে উঠেছে।’
সেন্টমার্টিন দ্বীপকে মিয়ানমারের মানচিত্রে প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে মিয়ানমার বাংলাদেশকে নিয়ে দুঃসাহস দেখানোর স্পর্ধা দেখাচ্ছে। এ কারণে বারবার মিয়ানমার সরকারিভাবে তাদের ওয়েবসাইটে সে দেশের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নিজের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।
রিজভী বলেন, ‘বাংলদেশের ভূখণ্ডকে মিয়ানমার তাদের দেশের অংশ নিতে চাইবে আর সরকার শুধু তাদের দূতকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করলেই সব শেষ হয়ে যায় না। একবার নয় কয়েকবার একই ঘটনা মিয়ানমার ঘটিয়েছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি।’
এছাড়া সরকারের ‘নতজানু পররাষ্ট্র নীতি’র কারণেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।