সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১:০২ অপরাহ্ণসৌদি আরবের দাম্মামে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত ৬ বন্ধুর মধ্যে আশফাক ফকির লিওন (২২) নামের বাংলাদেশি এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত বাকিরা সবাই মিশরের। দুর্ঘটনায় একমাত্র বেঁচে যাওয়া নিহত লিওনের বন্ধু আরেক বাংলাদেশি যুবক নাজমুল (২২) গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের চাচা বোরহান ফকির। এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার সময় মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত লিওনের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পৌরসদরের চৌধুরীকান্দা সদরদী গ্রামে। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর ফকির। আহত নাজমুলের বাড়ি একই উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন গ্রামে।
এদিকে একমাত্র ছেলে লিওনের মৃত্যুর খবরে পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল লিওন। লিওনের অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না স্বজনরা। তার বাড়িতে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। আহত নাজমুলের সড়ক দুর্ঘটনার খবরে তার বাড়িতেও চলছে কান্নার রোল।
নিহতের চাচা বোরহান ফকির জানান, লিওন আমার বড় ভাইয়ের একমাত্র ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট লিওন। লিওনের বড় বোন সৌদি আরবে থাকেন। বোনই লিওনকে সেখানে নিয়েছে। মাসখানেক হয় বাংলাদেশে এসেছে লিওনের বোন ও ভগ্নিপতি। লিয়নের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির ঢাকায় ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন গ্রামেই থাকেন। পরিবারের হাল ধরতে অল্প বয়সেই এইচএসসিতে উঠে সৌদি আরবে পাড়ি জমান লিওন। শনিবার সন্ধ্যার পরে ওরা সাত বন্ধু মিলে একটি প্রাইভেট কারে বাসায় ফিরছিল। সৌদি আরব সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ওরা ছয় বন্ধু ঘটনাস্থলে নিহত হন। ওরা সবাই মিশরের। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া ওদের এক বন্ধু নাজমুল গুরুতর আহত হন। সে এখন সৌদি আরবের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। নিহত লিওন ভগ্নিপতি বাংলাদেশে বেড়াতে আসায় তার ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
কবে নাগাদ লিওনের মরদেহ বাংলাদেশে আসবে তিনি জানেন না। তবে পরিবারের দাবি ছেলের মরদেহটি যেন দ্রুত বাংলাদেশে আনা হয়।