জোড়া বিস্ফোরণে কাঁপলো পাকিস্তান, নিহত ২৮
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০০ পূর্বাহ্ণপাকিস্তানে আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন। দেশজুড়ে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তা স্বত্ত্বেও গতকাল বুধবার দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বেলুচিস্তান প্রদেশে। পৃথক ওই দুই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৮ জন।
বিবিসির খবর বলছে, প্রথম বিস্ফোরণে ১৮ জন মারা যান। পিশিন অঞ্চলে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ের সামনে ওই বিস্ফোরণ হয়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে, কিল্লাহ সাইফ উল্লাহ অঞ্চলে। সেখানে মারা যান ১০ জন। দুই স্থানেই বিপুল মানুষ আহত হয়েছেন।
নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। এ ছাড়া নির্বাচনে জালিয়াতি হতে পারে- এমন অভিযোগও উঠেছে। বুধবারের বিস্ফোরণের দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী নেয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে বিস্ফোরণের পর গাড়ি ও মোটরবাইক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবারও বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ এখনো বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে। আহতদের কাছের হাসপাতালগুলোতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে দুই বিস্ফোরণের পরও ভোট পেছানো হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে বেলুচিস্তান সরকার।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই বলেন, ‘নিশ্চিত থাকুন, আমরা সন্ত্রাসীদের এই গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অবমূল্যায়ন বা এটিকে নষ্ট করতে দেব না।’
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভি বিস্ফোরণের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এক বার্তায় তিনি হতাহতদের নিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ইমরান খানের দল পিটিআইও বেলুচিস্তানের ওই দুই বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিস্ফোরণের অনেক আগেই ইমরান খান সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় তাদেরকে ভোটে অংশ নিতে বলেছেন।
এদিকে, পাকিস্তানে নির্বাচনের আগে সহিংসতার ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। দুই বিস্ফোরণে দেশটির অন্তত ২৮ জন মারা যাওয়ার পর এ বিবৃতি এলো তাদের পক্ষ থেকে।
বিবৃতিতে নির্বাচন পূর্ব সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি প্রতিবাদ ও সমাবেশকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, হয়রানি, দলীয় নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রাখা ও নিয়ম সেভাবে অনুসরণ না করে বিরোধী দলীয়দের বিচারকাজ পরিচালনার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অ্যামনেস্টি পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মানবাধিকার মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি