৬ দিনের সন্তান নিয়ে ভিডিও কলে প্রবাসী প্রেমিককে বিয়ে
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০১৯, ১২:১১ অপরাহ্ণনারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জ উপজেলায় নবজাতককে কোলে নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন নাদিয়া আক্তার নামের এক তরুণী। বুধবার দুপুরে ভিডিও কলের মাধ্যমে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি।
উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এ বিয়ের ব্যবস্থা করেন। নাদিয়া আক্তার উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক ভূইয়া বাড়ি এলাকার নাঈম ভূইয়ার মেয়ে।
নববধূর পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, বছর খানেক আগে ভোলাবো এলাকার সালাউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মোবারকের সঙ্গে নাঈম মিয়ার মেয়ে নাদিয়া আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাদিয়ার সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক করেন মোবারক।
এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন নাদিয়া। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে নাদিয়াকে অস্বীকার করতে শুরু করেন মোবারক। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশ হয়। এক মাস আগে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান মোবারক।
এরই মধ্যে ছয়দিন আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নাদিয়া। এরপর তরুণীর বাবা মুঠোফোনে মোবারককে বিয়ের কথা জানালে তাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে স্থানীয়দের বিচারের আশায় পাঁচদিন ঘুরেও উপযুক্ত কোনো সমাধান করতে না পেরে ইউএনওর কাছে নবজাতকের পিতৃপরিচয় পেতে বিচার দাবি করেন। পরে ইউএনও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের (ইউপি) মাধ্যমে উভয় পরিবারকে নোটিশ করেন।
ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুর সহযোগিতায় উভয় পরিবারকে ডাকেন ইউএনও। দুপুরে দুই পরিবার উপস্থিত হলে সবার সম্মতিতে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এ বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। উভয় পরিবারের সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা কাবিন ও নবজাতকের নামে দুই শতক জমি লিখে দেয়ার চুক্তিতে এ বিয়ে হয়। প্রবাসী মোবারকের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে নাদিয়ার বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের শাড়ি, কাবিনের ফি ও বিভিন্ন খরচ নিজেই বহন করেন ইউএনও।
এ বিয়ে সুষ্ঠু ও সামাজিকভাবে সমাধান হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। বিয়ের সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক ভূঁইয়া, ভোলাব ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটু, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান আশকারী ও কাজি আব্দুল মতিন উপস্থিত ছিলেন।