গণমাধ্যমকর্মীর আত্মহত্যার চেষ্টায় বিএফইউজে-ডিইউজের উদ্বেগ
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুলাই ২০১৯, ১২:১১ অপরাহ্ণসময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন সাইফুর রহমান শাকিলের আত্মহননের চেষ্টায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সোমবার (৮ জুলাই) এক যুক্ত বিবৃতিতে বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ এবং ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক অবহেলা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে শাকিল গত শনিবার (৬ জুলাই) আত্মহননের চেষ্টা চালান। মালিকপক্ষের বঞ্চনার শিকার হয়েই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এ ধরনের বঞ্চনার কারণে সৃষ্ট প্ররোচনা শুধু শাকিলের ক্ষেত্রে নয়; বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত অনেকের ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়। প্রিন্ট মিডিয়ায়ও কম বেশি এ অবস্থা বিদ্যমান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন নেয়ার সময় মালিকপক্ষ নিয়মানুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই কর্মরতরা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এরই মাঝে চ্যানেল নাইনের নিউজ সেকশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একুশে টেলিভিশন, দেশ টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী ছাঁটাই হলেও তাদের ন্যায্য ও আইনানুগ পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেনেও না জানার ভান করছে। ফলে সঙ্কট শুধু বাড়ছে।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, দেশে প্রায় দুই দশক ধরে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মকাণ্ড চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বদান্যতায় অনেক টিভি চ্যানেল অনুমোদন পেয়েছে। অথচ সরকার সম্প্রচার আইন ও গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত সেটি হয়নি। ফলে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে কর্মরতরা তাদের ন্যায্য ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। নিত্যনৈমিত্তিক বঞ্চনার কারণে কর্মরত সাংবাদিক-সংবাদকর্মীদের মাঝে সৃষ্ট হতাশা তাদের আত্মহননের মতো ভয়াবহ ঘটনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শাকিল যে ক্ষোভ থেকে আত্মহননের চেষ্টা করেছেন তা শুধু ওই প্রতিষ্ঠানের সৃষ্ট বঞ্চনা ও নিপীড়নের চিত্র নয় বরং মিডিয়ার একাংশের প্রতিচ্ছবি। শাকিলের ফেসবুক স্ট্যাটাসেও তার চিত্র ফুটে উঠেছে।
অবিলম্বে সম্প্রচার আইন ও গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস করে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরতদের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণে সরকারের প্রতি দাবি জানান নেতারা। একই সঙ্গে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদপত্রে আরও কঠোর নজরদারির আহ্বান জানানো হয়।