বিয়ানীবাজার হাসপতালে ‘সেবা বন্দি’ বেড়াজালে

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০১৯, ৭:০৭ অপরাহ্ণসাত্তার আজাদ:: বিয়ানীবাজারের এই ডাত্তারখানার ওপর নির্ভর করেন বড়লেখা, জকিগঞ্জ, জুড়ী, কানাইঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। আট লাখ মানুষের আশা-ভরসার এই হাসপাতালে সেবা বন্দি বেড়াজালে। সেখানে ডাক্তারের সংকট আছে; কিন্তু যারা আছেন তারাও দায়িত্বহীন। ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন প্রত্যন্ত অঞ্চল ও উপজেলার বাইরে থেকে শত শত মানুষ আসেন চিকিৎসার আশায়। এসেই কেউ নিরাশ হন কেউ আটকা পড়েন বেড়াজালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলেই সাধারণ রোগীদের ধরিয়ে দেওয়া হয় প্যারাসিটামল বা অন্য কোনো ওষুধ। যা জ্বরে যেমন কিডনি রোগেও তেমন। আবার এই ডাক্তারের চেম্বারে যখন ওই রোগী যান টাকা খরচ করে বা ভিজিট দিয়ে, তখন তাকে ধরিয়ে দেওয়া হয় লম্বা পরীক্ষা-নিরিক্ষার এক তালিকা। এতে রোগীর পরীক্ষা করাতেই হাজার দশেক শেষ। গরীব হলে কি আর করবে পরীক্ষাতেই ফেল জীবনের চিকিৎসা। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
অভিযোগ রয়েছে বিয়ানীবাজারে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্যাথলজি বা পরীক্ষাখানা। এই পরীক্ষা খানা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনা। কেননা তাদের সাথে জড়িত ডাক্তারখানা। যেখানে যাও ঘুঘু খেতে হবে ধান। যে প্যাথলজিতেই যাবে ‘মনা’ সেখানেই ডাক্তারের লিংক। অবশেষে ধীরে হলেও ঘুঘু চাতালে আসতে হয়। গলা পেতে দিতে হয় পা-বাধা ছাগলের মত। আর ফ্রি’র নামে গজানো হয় রোগিকে। এ তো গেল প্যাথলজিখানা। বিয়ানীবাজার ডাক্তার খানায় চিকিৎসকরা নিয়মিত চিকিৎসা দেননা। নিয়মিত হাসপাতালে দেরিতে আসা। এসেই অফিসের কাগজপত্র নিয়ে বা ব্যক্তিগত কাজে মনোযোগি হওয়া। আর যখন রোগীর কপাল খুলে আর ডাক্তারের দেখা মিলে; কিন্তু চিকিৎসা মিলেনা। জটিল কিছু হলেই চেম্বারে যাবার পরামর্শ। রোগী তো অসহায় মৃত্যুর ভয় আছে, তাই কি আর করা যেতে হয় চেম্বারে আত্মসমর্পন করতে। বিয়ানীবাজার হাসপাতালে রোগী দেখেন নার্স, ব্রাদার ও স্বাস্থ্য সহকারী। ডাক্তার কালেভদ্রে মিলে। ভর্তি রোগীদের অভিযোগের শেষ নেই। চিকিৎসার নামে যেন তাদের ‘জেলিয়ার’ মত অবস্থা বলে অভিযোগ অনেকের।
লোকবল ও পরীক্ষণ যন্ত্রের সংকটে এই হাসপাতাল। শিশু, সার্জারি, চক্ষু, মেডিসিন, নাক কান গলা, অ্যানেস্থিসিয়া বিভাগের ডাক্তারসহ কয়েক পদ শূণ্য। নার্স সংকট। পরীক্ষণ যন্ত্র আলট্রাসনোগ্রাম এক্স-রে মেশিন অ্যাম্বুল্যান্স চলে চলেনা অবস্থায়। প্যাথলজিখানার দরজা খুলে না। তাই পরীক্ষার জন্য যেতে হয় বাইরে।