‘চলেন দাওয়াত খেয়ে আসি’
![](https://beanibazarbarta24.com/images/icon.png)
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০১৯, ৬:১৪ অপরাহ্ণটাঙ্গাইল: শুক্রবার দুপুর আড়াইটা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন মুঠোফোনে স্থানীয় সাংবাদিকদের বললেন, চলেন দাওয়াত খেয়ে আসি। তার গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের সাটিয়াচড়া গ্রামে। বিকলে ৩টার দিকে সাটিয়াচড়া গ্রামে সিদ্দিক মিয়ার বাড়ির উঠানে গাড়িটি থামালেন।
বাড়ির সামনে বিয়ের গেট। বাড়ির ভেতর রান্নার কাজ শেষ। প্যান্ডেলের ভেতর অতিথিরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন ঘরের ভেতর কনের পাশে গিয়ে বসলেন।
কনের কাছে জিজ্ঞেস করলেন- তোমার নাম কি? মেয়েটি জানাল- তার নাম কারিমা আক্তার। কোন ক্লাসে পড়? মেয়েটি বলল- সাটিয়াচড়া শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে।
এ সময় ইউএনও মেয়েটির বাবা, মা, ভাই, স্থানীয় মাতব্বরদের ডাকলেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির করলেন। তাদের উপস্থিতিতে তিনি বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বললেন।
এ সময় মেয়েটির বাবা, মা ও ভাই নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ১৮ বছরের আগে কারিমাকে বিয়ে না দেয়ার বিষয়ে মুচলেকা দেন। পরে কনে বিয়ের শাড়ি খুলে অন্য পোশাক পড়ে নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে আসে। তার উপস্থিতিতেই বিয়ের গেট ও প্যান্ডেল ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে সচেতন হতে হবে।