সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলা: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮ জন আসামি, অজ্ঞাত ২৫০
সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ৮:১১ অপরাহ্ণসিলেট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আজরফ (জাবুর) বাদী হয়ে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার ২ নম্বর আসামি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ক্রাইম উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউসার, তিন নম্বর আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, চার নম্বর আসামি সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মিজানুর রহমান।
অন্য আসামিরা হলেন, সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, থানার সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুর রহমান, থানার এসআই কাজি রিপন সরকার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সিসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পিযূষ কান্তি দে, সিলেট সিটি করপোরেশনের পিআরও সাজলু লস্কর, সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিসিকের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, নগরের চালিবন্দর নেহার মঞ্জিলের বাসিন্দা শিবলু আহমদ (মো. রুহুল আমিন), এসএমপির কনস্টেবল সেলিম মিয়া, আজহার ও ফিরোজ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশ ও দুর্বৃত্ত দ্বারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আসামিরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে একজোট হয়ে বাদীর নিরপরাধ ছোট ভাই সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবকে (এটিএম তুরাব) হত্যা করা হয়। দিন দুপুরে শত শত মানুষের সামনে উক্ত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
মামলার বাদি আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বলেন, পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৮ জনকে এজহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। বিজ্ঞআদালত আমাদের সার্বিক অভিযোগ পর্যালোচনা করে সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে কালেক্টরেট জামে মসজিদ এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের সংরর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন দৈনিক নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাব।। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ৮-১০ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।
পুলিশ ওই সময় জানায়, আগেই তাদের পক্ষ থেকে বিএনপি ও জামায়াতের ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকশ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। তাই তুরাবের ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করেছে তারা। এ ছাড়া পুলিশের ওই মামলা এক মাস পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তুরাবের পরিবারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।