টি-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড
![](https://beanibazarbarta24.com/images/icon.png)
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ৬:১০ অপরাহ্ণ![](https://protidinerbangladesh.com/uploads/2022/11/online/photos/eng-6370d6f55536d.jpg)
বার্তা ডেস্ক: ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ড জিতেছিল তার পরের বছর, ২০১০ সালে। এরপর কেটে গেছে কতো দিন! বিশ্বকাপের ফাইনালে আর ওঠা হয়নি পাকিস্তানের। ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে তাই শিরোপাতে চোখ ছিল বাবর আজমদের।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠলেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সেই আক্ষেপ ঘুচল ২০২২ সালে এসে। পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ফাইনাল খেলল। তবে শিরোপা উঠল বাটলারদের হাতেই। এই ফরমেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন ইংলিশরা।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। ১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট আর এক ওভার হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন আলেক্স হেলস। শাহিন শাহ আফ্রিদির ওভারের শেষ বলে স্টাম্প ভাঙে হেলসের। উইকেট হারালেও রিদম হারায়নি ইংল্যান্ড। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন জস বাটলার ও ফিলিপ সল্ট। চতুর্থ ওভারে হারিস রউফের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সল্ট। ৮ বলে তিনি করেন ১০ রান। সল্টের পর বাটলারকেও ফেরান সেই রউফ। ১৭ বলে ২৬ রান করেন ইংলিশ ওপেনার।
দলীয় ৪৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর ৩৯ রানের জুটি গড়েন স্টোকস ও হ্যারি ব্রুক। ব্রুককে বিদায় করেন শাদাব খান। তিনি করেন ২৩ বলে ২০ রান। শেষ দিকে ঝড় তুলে মঈন আলি আউট হন ১৩ বলে ১৯ রান করে। স্টোকস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি, শাদাব ও ওয়াসিম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের বোলারদের কাছে নাস্তানাবুদ হয় পাকিস্তানের ব্যাটাররা। নেম কারেনের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মোটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হন পাকিস্তানের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম। রিজওয়ান ১৪ বলে ১ ছয়ে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
এরপর তিন নম্বরে নেমে এদিন রীতিমতো সংগ্রাম করতে থাকেন মোহাম্মদ হারিসও। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১২ বল খেল তিনি করেন ৮ রান। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে পাকিস্তানের রান ছিল ৩৯ রান। ৫০ রান পার করার আগেই দলটি হারায় দুই উইকেট।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ রান যোগ করেন বাবর ও শান মাসুদ। ২৮ বলে ২ চারে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। বাবরের বিদায়ের পরপরই ফেরেন ইফতিখার আহমেদও। ৬ বল খেললেও কোনো রানই করতে পারেননি তিনি।
অন্যপ্রান্তে শান মাসুদ রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা চালালেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ২৮ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ৩৮ রান করতে পারেন শান।
শেষদিকে শাদাব খান ১৪ বলে ২ চারে ২০ রান করেন। এছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।
ইংল্যান্ডের পক্ষে কারেন ৪ ওভারে ১২ রানের দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আদিল রশিদ ২২ রান দিয়ে ২টি ও ক্রিস জর্দান ২৭ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন।