ভারতের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল: বিকেল ৩টা নাগাদ উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী। কিন্তু তার আগেই সকাল ৯টা নাগাদ ১৯৫ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার গোপালপুর এবং পুরীতে আছড়ে পড়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়: ‘‘গত তিন দিন উপগ্রহ চিত্রে গতিবিধির ওপর নজর রাখার পর ভারতের আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছিলো, বেলা ১২টা পর্যন্ত উড়িষ্যায় তাণ্ডব চালাবে ফণী। ১২টার পর তা উড়িষ্যা অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের চলে আসবে।’’
পুরীতে ফণী আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমণি-সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে তুমুল ঝড়বৃষ্টি। শঙ্করপুরে ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। এরপরই পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও বিদ্যুৎহীন উড়িষ্যার পুরী, গোপালপুরের অনেক এলাকা।
উড়িষ্যা উপকুলে আঘাত শেষে ‘ফণী’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলের দিকে ধেয়ে আসবে। এর প্রভাবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে প্রবল বাতাস দমকা হাওয়াসহ ভারী থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হবে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকুলীয় জেলা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে
বাংলাদেশের ১৯ এবং ভারতেরও ১৯ জেলায় আঘাত করবে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। বাংলাদেশ ও ভারতের ১০ কোটি মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
ধেয়ে আসতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। সব দপ্তরের মাঠ পর্যায়ে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রস্তুত করাহয়েছে ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে।
রেড অ্যালার্ট জারি, মাইকিং করে সর্তকতা নির্দেশ, আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।