ছাত্রলীগ ছাড়ার কারণ জানালেন ভিপি নুর
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০১৯, ১:৪৮ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নব নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়ায় অনেকেই তাকে ‘শিবির কর্মী’র তকমা দেয়। ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময়ও ছাত্রলীগের অনেকেই তাকে শিবির বলে অভিহিত করেছিলেন।
যদিও ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর নুরুল হক নুর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
জানা গেছে, নুরুল হক নুর ২০১৫ সালের ৭ জুন মুহসিন হল ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উপ- মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে পদ বঞ্চিত হন নুর। এরপর থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। সময়ের পরিক্রমায় ২০১৮ সালের দিকে সে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক বনে যান।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাকসুদ রানা মিঠু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে একটি স্টাটাসও দিয়েছেন। ভাইরাল হওয়া সে স্টাটাসের শুরুতে তিনি লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মি থেকে তোমাকে যারা নিজ স্বার্থে ছাত্র অধিকার আন্দোলনের নেতা বানালো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর মত অবস্থান ও সাহস তোমার কাছ থেকে প্রত্যাশা করি। ছাত্রলীগ তার যত কর্মিকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শিবির বানিয়েছে আমি বিশ্বাস করি তুমি তাদেরই একজন।
অবশেষে নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়টি পরিষ্কার করলেন নুর নিজেই। তিনি বলেন, ‘একসময় আমি ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, এখন আমি ছাত্রলীগের কেউ না। এখন আমি সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
এছাড়া ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালীন স্কুল কমিটিতে দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল শাখার উপ- মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক ছিলাম।’
ছাত্রলীগ কেন ছাড়লেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন মনে হয়েছে ছাত্রলীগের কিছু কিছু কাজ নীতি-নৈতিকতার বিরোধী। শিক্ষার্থীদের অনিচ্ছ্বা সত্বেও প্রোগ্রাম করাতো যা আমি নৈতিকভাবে সমর্থন করতে পারিনি। সে জায়গা থেকে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে সরে এসেছি।’