মারা গেছেন গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা চিকিৎসক

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৯ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম, টেকনাফ।।
অবশেষে মারা গেছেন টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত পল্লী চিকিৎসক হামিদ উল্লাহ।
শুক্রবার রাত সোয়া একটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তার ভগ্নীপতি শাকের।
এর আগে রাত ৯টার দিকে নয়াপাড়া শিবিরের শালবাগান ক্যাম্পে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণের পর গুলি করে। একই সময় হাসান আলী নামে আরও একজনকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
তিনি মুমূর্ষাবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিহত ডা. হামিদ উল্লাহ (৪১) টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোছনের ছেলে ও ক্যাম্প এলাকার পল্লী চিকিৎসক। অপর গুলিবিদ্ধ হাসান আলী মোচনী নিবন্ধিত ক্যাম্পের সি- ব্লকের মোহাম্মদ সালামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নয়াপাড়া শালবন ক্যাম্পে (নং- ২৬) সন্ধ্যার পর ১৫-২০ জনের একদল স্বশস্ত্র গ্রুপ এসে নিজা ফার্মেসিতে কাজ করা অবস্থায় ডা. হামিদকে অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে ৬-৭ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে শালবন ক্যাম্পের পশ্চিমে এ-ব্লকের পাশে ডা. হামিদের গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আবার নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে একদল স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সি- ব্লকের হাসান আলী প্রকাশ কমিটি হাসানকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে গুলি করে। এতে হাসান আলীর শরীরে ৪টি বুলেট বিদ্ধ হয় বলে জানান তার ভগ্নীপতি জসিম।
স্থানীয় রোহিঙ্গা ও ক্যাম্পে নিয়োজিত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মুমূর্ষু হাসান ও হামিদকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের রাতে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হামিদ মারা যান। এরপর তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, দুজনকে অপহরণ ও গুলির ঘটনার পর পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং যৌথ বাহিনী টহল জোরদার করেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যার পর গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পাহাড়ি এলাকা থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়েছি চমেকে যাওয়ার পথে হামিদ মারা যান।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, এ ঘটনায় কেউ এখনও এজাহার দেননি। এরপরও দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।