বিয়ানীবাজারে দু’হত্যা মামলায় নাহিদ-নাসির খানসহ আসামি দুই শতাধিক
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণস্টাফ রিপোর্টার: বিয়ানীবাজার থানায় গত ৫ আগস্ট অস্ত্র লুট ও অগ্নিসংযোগের সময় গুলিতে ময়নুল ও রায়হান হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) নিহত ময়নুলের ইসলামের স্ত্রী শিরিন বেগম ও নিহত রায়হান আহমদের ভাই বোরহান উদ্দিন পৃথকভাবে হত্যা মামলা দু’টি দায়ের করেন।
ময়নুল ও রায়হান হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানসহ আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রেরিত বিয়ানীবাজার থানার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট নিহত বিয়ানীবাজারের ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী ময়নুল হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিন বেগমের মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকএডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, জুয়েল আহমদ, সুমন আহমদসহ (বিমল চন্দ) ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮০-৯০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামী করেন। মামলা নং-৭, তারিখ ২৬/০৮/২০২৪।
একইদিন নিহত কুড়ারবাজার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রায়হান আহমদের ভাই বোরহান উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদ আহমদসহ এজাহারনামী ৩০ আসামীর নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত আরও ৭০-৮০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ অকিল উদ্দিন আহমদ জানান, দু’টি হত্যা মামলা থানায় রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরআগে গত ২০ আগস্ট থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় পেশাদার ৫ সাংবাদিকসহ ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর দু’দিন পর মামলার বাদি ইনারুন বেগম তাকে ভুল বুঝিয়ে এ মামলা দায়ের করানো হয়েছে উল্লেখ করে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করেন।