ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আর নেই

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:১১ অপরাহ্ণতত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আর নেই।
আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তার বাবা। তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপরে মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামী লীগ এর মনোনয়ন নিয়ে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা’র প্রচলন করলে তিনি তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগ এ যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকার এর পতন পর্যন্ত তিনি ডেমোক্র্যাটিক লীগেই ছিলেন।
বাংলাদেশ এর সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ এর সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশন এর সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পালন করেন।২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারী তাকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এক মহিলা সাংবাদিককে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে মানহানির মামলা হয় এবং তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।