পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ৬:৩৯ অপরাহ্ণতথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনে সব সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল এবং থাকে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিতও হয়। তবে যারা আমাদের দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার বাশার মো. ফখরুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়নের ঘোষণা করছে এবং তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে। দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এর বাইরেও অনিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তাতে বিএনপি হতাশ হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেওয়া এগুলোর মাধ্যমে আসলে পুরো দেশ আজ নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আছে। এই আমেজের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জনের যে ডাক দিয়েছে সেটা হাওয়ায় মিলে গেছে। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী হয়েছে।’
‘বিএনপি নেতাদের মন্তব্য- কয়েকদিনের মধ্যে সরকারের পতন হবে’ এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি এ ধরনের মন্তব্য করে জনগণের কাছে দিন দিন হাসির পাত্র হচ্ছে। সরকারের পতন নিয়ে তারা বহুদিন ধরে দিনক্ষণ ঘোষণা করে আসছে। তারা বলে, অমুক দিন সরকারের পতন হবে। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল তারা। এ বছর ২৮ অক্টোবরও দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এভাবে তাদের ঘোষণাটাই একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা।’
বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশি থাবার যে কথা বলা হচ্ছে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের সময়েও বিদেশি থাবা ছিল, এখন থাবা রয়েছে। যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশ-বিদেশি নানাচক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবে, আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে মিত্রতা। সেই নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি এবং আমাদের সঙ্গে সব দেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আমাদের সকল উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা নিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই।’
এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চিশতি, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, বেদারুল আলম চৌধুরী, আবদুল মোনাফ সিকদার, এমরুল করিম রাশেদ, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।