দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ নভেম্বর ২০২২, ৮:০৪ অপরাহ্ণসুনামগঞ্জ: দিরাইয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। নিহত আজমল হোসেন চৌধুরী কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।
আজমলের ভাগ্নে রহমত আলী বলেন, আমি ও মামা একসঙ্গে সম্মেলনে ছিলাম। আমাদের ওপর দুটি ইটের টুকরা এসে পড়লে মামা পিঠে আঘাত পান। তাত্ক্ষণিক ক্ষতস্থলে বরফ লাগিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে গেলে তার অবস্থার অবনতি হয়। এক পর্যায়ে মারা যান তিনি।
দুপুরে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চে ওঠা নিয়ে সভায় সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও প্রদীপ রায়ের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও চেয়ার ছুঁড়ে মারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় আহত হন দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান চৌধুরী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা এবাদুর রহমান কুবাদ, পৌর কাউন্সিলর এবিএম মাসুম প্রদীপ প্রমুখ।
সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুল সামাদ আজাদ ডন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি নোমন বখত পলিন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্ত, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম-সহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তারা প্লাস্টিকের চেয়ারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের রক্ষা করেন। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সম্মেলন শুরু হয়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।