বিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: বিয়ানীবাজারে বন্যার পানি অবিরত বাড়ছে। নতুন করে ডুবছে সড়ক, বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান। এতে পানিবন্দি মানুষের আহাজারি দীর্ঘ হচ্ছে। তবে, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা এবং প্রশাসন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বুধবার পর্যন্ত উপজেলার ৫২ আশ্রয় কেন্দ্রে ৮৮১ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
সিলেট-বিয়ানীবাজার-বারইগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বিয়ানীবাজারে বুধবার (২২ জুন) আরো ২২ মে.টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে মোট ১২ লক্ষ টাকা ও ৫৫ মে.টন চাল বরাদ্দ পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বন্যার্তদের মাঝে বণ্টন করা হচ্ছে।
এছাড়া, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ মন্ত্রলালয় এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দিয়েছে। যার প্রত্যেক প্যাকেটে সাড়ে ১২ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী রয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মুশফিকুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি আজ বন্যাকবলিত কুড়ারবাজার, শেওলা, চারখাই ও আলীনগর ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি বন্যার্তদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এমপি’র সাথে ছিলেন।
অপরদিকে, বন্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন পৌরসভার জনগণ। ইতিমধ্যে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র জিএস ফারুকুল হক, প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী হাজি আব্দুল কুদ্দুছ টিটু’কে বন্যার্ত পৌরবাসীর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে। এমনকি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সদ্য সাবেক মেয়র মো. আব্দুস শুকুর।
এছাড়া, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আজ বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাইসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।