পাবনা: পাবনায় গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ১৩ নারী সদস্যসহ এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ।
এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে বাড়ির মালিক ও এই সংগঠনের মদতদাতা পাবনা সাঁথিয়ার ধুলাউড়ি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার হোসেনকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৯.৩০টার দিকে পাবনা সদরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নং সড়কের ১১৯ নং বাড়িটির মালিক সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেনের। দ্বিতল এই বাড়ির নিচতলায় জামায়াতের নারী সদস্যদের আস্তানা ছিলো। এখান থেকে নারী সদস্যরা মেয়েদেরকে সংগঠিত এবং নাশকতার ছক পরিচালনা করতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাত ৯.৩০টার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে বৈঠক চলা অবস্থায় জামায়াতের ১৩ নারী সদস্য এবং বাড়ির মালিক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনকে আটক করে। ওই আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্চ জেলার বেলকুচি থানার গোপালপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের মেয়ে রাবেয়া খাতুন (২৫), বগুড়া গাবতলি থানার আফসার আলীর মেয়ে লুমা খাতুন (২৮), পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার চিনাখড়া গ্রামের মোঃ আমিন উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ তছলিমা (১৮), পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোয়ালমারী এলাকার মোঃ মুছাব আলীর মেয়ে মোছাঃ মাহাফুজা (২২), পাবনার বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর নতুনপাড়ার সোরাব মোল্লার মেয়ে নাজমা খাতুন (২৭), নাটোরের কালিকাপুর এলাকার মৃত মহসিন আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২২), নাটোর লালপুরের মোঃ আমজেদ আলীর মেয়ে আসমাউল হোসনা (২৫), ঢাকা মিরপুরের মোঃ আলী আহম্মেদের মেয়ে রুমা খাতুন (৩০), পাবনা বলরামপুর এলাকার আহম্মেদ প্রাং এর মেয়ে লাকী খাতুন (২৪), বগুড়া নাড়লী থানার মোঃ শামসুজ্জামানের মেয়ে মোছাঃ শারমিন (২৬), সিরাজগঞ্জ বেলকুচি থানার মোঃ আতাউর রহমানের মেয়ে আরিফা খাতুন (২৮), পাবনা আটঘরিয়া উপজেলার মোঃ বাকি বিল্লার মেয়ে শামীমা নায়রিন (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার আলোকদিয়া গ্রামের আব্দুল মালেক খানের মেয়ে তানজিদা খানম (২০), পাবনা আতাইকুলা থানার গঙ্গারামপুার গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের মেয়ে মোছাঃ তাসলিমা খাতুন (২০)।