Wednesday, 22 March, 2023 খ্রীষ্টাব্দ | ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |




সাক্ষাৎকার

অবসরে প্রথম বছর বই পড়ে কাটাবো : ড. জাফর ইকবাল

ছাদেক আহমদ আজাদ

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। একজন জনপ্রিয় লেখক, শিক্ষাবিদ এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে দেশ-বিদেশে সমধিক পরিচিত। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (শাবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। গত বছর শাবি ক্যাম্পাসে তিনি এক যুবকের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। সিএমএইচ এ চিকিৎসা শেষে বর্তমানে ড. জাফর ইকবাল অনেকটা সুস্থ রয়েছেন।

শাবি’তে অধ্যাপনার প্রায় ২৫ বছর কাটিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর অবসরে যাচ্ছেন অগণিত ছাত্র-ছাত্রীর প্রিয় শিক্ষক ড. জাফর ইকবাল। দু’মাস ইংল্যান্ড সফর শেষে শাবি ক্যাম্পাসে ফিরে এখন তাঁকে বাসার বইপত্র গোছাতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে শাবি’র শিক্ষক আবাসিক কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় দৈনিক সিলেটের ডাক এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে ‘অবসর, হত্যাচেষ্টা, শিক্ষাব্যবস্থা’সহ বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন ড. জাফর ইকবাল। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলো ধরা হলো-

সিলেটের ডাক: আপনার শাবি’তে যোগদানের প্রেক্ষাপট যদি বলতেন?
ড. জাফর ইকবাল: দীর্ঘ ১৬ বছর আমেরিকায় বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করে ১৯৯২ সালে দেশে বেড়াতে এসেছি। সেসময় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর সদরুদ্দীন আহমেদ চৌধুরীর আমন্ত্রণে শাবি ক্যাম্পাস দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তখন ভিসি স্যারের কথাবার্তা এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশটা সত্যিই আমার ভালো লেগেছিল। এর দু’বছর পর ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে শাবিতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি।

সিলেটের ডাক: শাবি’র শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীরা কেমন?
ড. জাফর ইকবাল: ছাত্র রাজনীতি, শিক্ষকদের ন্যায্য আন্দোলন এবং দু’এক ভিসি’র স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিভিন্ন সময় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘিœত হতে দেখেছি। কিন্তু শাবি’র শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা-সম্মান করে এবং পড়ালেখায় তারা খুবই মেধাবী।

সিলেটের ডাক: জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে?
ড. জাফর ইকবাল: আপনারা জানেন, জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন কমিটির আমি একজন সদস্য। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষানীতি ঘোষণার পর থেকেই এর যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিক্ষানীতির সুফল ইতোমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা ভোগ করতে শুরু করেছে। শতভাগ বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

সিলেটের ডাক: ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা ও পরীক্ষা প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্য?
ড. জাফর ইকবাল: অনেকেই মনে করেন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার নাম শিক্ষা। আসলে তা মোটেও সত্যি নয়। শিশুদের আনন্দ দিয়ে নিয়মিত স্কুলমুখি করা এবং পাঠাভ্যাস গড়ে তোলাই হচ্ছে শিক্ষার মূল কাজ। এ প্রক্রিয়ায় শিশুদের বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়া এবং পরীক্ষার সম্মুখীন করা অনুচিত। জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না। আর স্কুল কর্তৃপক্ষেরও ভাবা উচিত, একটি শিশু কয়টি বই পড়তে পারবে। সে অনুযায়ী সিলেবাস প্রণয়ন করা হলে বইয়ের বোঝা থাকবে না।

সিলেটের ডাক: সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যদি কিছু বলতেন?
ড. জাফর ইকবাল: সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- একদিনে এক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করতে হবে না। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিশ^বিদ্যালয় তাদের ভর্তি প্রক্রিয়ার স্বকীয়তা পুরোপুরি বজায় রাখতে পারবে। তবে কিছু কিছু শিক্ষক এ প্রক্রিয়ার কেন বিরোধিতা করেন তা আমার বোধগম্য নয়।

সিলেটের ডাক: এ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কী?
ড. জাফর ইকবাল: সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে কিছুটা দেরি হওয়ায় দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। ইতোমধ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। আমি আশাবাদী, আগামী বছর থেকেই এ প্রক্রিয়ায় বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেটের ডাক: শাবি’র শিক্ষক হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?
ড. জাফর ইকবাল: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সত্যিই আমি ধন্য। কারণ, দেশের নামকরা অনেক বিশ^বিদ্যালয় থাকার পরও যখন দেখি আমার শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার জিতে এসেছে। তখন বিভিন্ন কারণে দুঃখ, বেদনা থাকার পরও আমার মন ভালো হয়ে যায়।

সিলেটের ডাক: স্যার দুঃখটা কী, যদি বলতেন?
ড. জাফর ইকবাল: আসলে তেমন কিছু নয়। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যখনই ভালো কিছু করার চেষ্টা করেছি, তখন কোনো না কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছি। ২০১৩ সালে দু’টি বিশ^বিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি যখন শেষ পর্যায়ে। তখন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন। সত্যি এতে খুব দুঃখ পেয়েছি।

সিলেটের ডাক: আপনারা দু’জন (স্বামী-স্ত্রী) শাবি থেকে পদত্যাগ করলেন কেন?
ড. জাফর ইকবাল: ভিসি দু’টি বিশ^বিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন শুনে আমি এবং আমার স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই। সম্ভবত ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর আমাদের পদত্যাগপত্রটি বিশ^বিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়ে দিই। পরবর্তীতে সরকারযন্ত্র এবং শাবি’র প্রিয় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধে আমরা শেষ পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিই।

সিলেটের ডাক: আপনার মতে শিক্ষার হার ও মান বেড়েছে কী?
ড. জাফর ইকবাল: আওয়ামী লীগ সরকারের গত দু’মেয়াদে শিক্ষার হার বাড়াতে তুলনামূলক বেশি কাজ করা হয়েছে। হার বেড়েছে এখন আস্তে আস্তে মান বাড়ছে। তবে পুরোপুরি বাড়াতে সরকারকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে।

সিলেটের ডাক: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
ড. জাফর ইকবাল: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ছাত্র-ছাত্রী কিংবা বিশ^বাসী দেখতো যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা উড়ছে। তখন স্বাধীনতার সত্যিকার ঘোষক নিয়ে প্রশ্ন জাগতো। এখন তো এ প্রশ্নগুলো কেউ করে না। পাঠ্যবইয়ে সঠিক ইতিহাস সন্নিবেশিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিয়েছে। আশা করি সময় নিলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এদেশে বাস্তবায়ন হবে।

সিলেটের ডাক: আপনি রক্তাক্ত হয়েছেন, এখন অনুভূতিটা কেমন?
ড. জাফর ইকবাল: দেখুন, একটা ছেলে আমাকে রক্তাক্ত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ আমাকে যে ভালোবাসে, এ ঘটনাটি না ঘটলে হয়তো আমি জানতাম-ই না। আল্লাহর হুকুম এবং ওসমানী হাসপাতাল ও সিএমএইচ চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টায় বেঁচেছি। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং আমার ছাত্র-ছাত্রী যারা রক্ত দিয়েছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এছাড়া, সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পর হঠাৎ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ধলঘাটের বেশ ক’জন বয়স্ক মানুষ আমার সামনে এসে হাজির। আমাকে যে লোকটি রক্তাক্ত করেছে সে ঐ গ্রামের বাসিন্দা। এ কারণে তাঁরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এসেছেন আমার কাছে ক্ষমা চাইতে।

সিলেটের ডাক: আক্রান্ত হওয়ার কারণটি জানাবেন কী?
ড. জাফর ইকবাল: ২০১৬ সালের অক্টোবরে আমি ও আমার স্ত্রীকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি সংগঠন মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এ নিয়ে থানায় জিডি করলে আমাদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রহরা দেয়া হয়। শুনেছি ঘটনার পর ফয়জুল বলেছে- আমার লেখা ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ বইয়ে না-কি ইসলাম ধর্ম বিরোধী লেখার কারণে সে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। অথচ আমার পরিবার ও মা-বাবা পরহেজগার। আমিও ইসলাম ধর্মে বিশ^াসী। আমি দু’শোর ওপরে বই লিখেছি, কিন্তু কোথাও নিজের ধর্ম নিয়েতো দূরের কথা, অন্য ধর্ম নিয়েও নেগেটিভ বা বিদ্বেষপূর্ণ কিছু লিখিনি। পরে শুনেছি সে কারাগারে ঐ বই পড়ে ধর্ম বিদ্বেষী কিছু পায়নি।

সিলেটের ডাক: বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার ইচ্ছে আপনার ছিল কী?
ড. জাফর ইকবাল: উপাচার্য হওয়ার ইচ্ছে থাকলে অনেক আগেই হতে পারতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আমাকে উপাচার্য হওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমি সবিনয়ে বলেছিলাম উপাচার্য জব উপভোগ্য নয়; শিক্ষকতা আমার ভালো লাগে।

সিলেটের ডাক: কারান্তরীণ ফয়জুলের প্রতি এ মুহূর্তে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন?
ড. জাফর ইকবাল: তার প্রতি আমার কোনো রাগ নেই। কারণ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাকে যেভাবে বুঝিয়েছে সে ঐভাবে কাজ করেছে। তবে ছেলেটি নষ্ট হয়েছে, তার পরিবারকে ধ্বংস করেছে এজন্য দুঃখ লাগে। ওদের জন্য আমার একধরনের করুণা হয়, মায়া হয় কিন্তু রাগ হয় না।
সিলেটের ডাক: আপনি কী তার শাস্তি চান?
ড. জাফর ইকবাল: আদালতের বিচারে যে রায় হবে, সেটাতেই আমি সন্তুষ্ট থাকবো। এ ঘটনা নিয়ে আমার বিশেষ কোন চাওয়া নেই।

সিলেটের ডাক: ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন কী?
ড. জাফর ইকবাল: আমার অবসরের সময় হয়েছে তাই অবসর নিচ্ছি। এতে আমার প্রিয় ছাত্র ছাত্রীদের মন অবশ্যই খারাপ হবে, আমারও হচ্ছে। যদি তারা খুশি হত তাহলে বোঝা যেত আমার প্রতি তাদের দরদ বা ভালোবাসা নেই। মানুষ সারাজীবন বেঁচে থাকে না। তাই, এক জায়গায় থাকাও সম্ভব নয়। এ বিষয়টি তাদেরকে বুঝতে হবে। আর এ বিশ^বিদ্যালয়ের যেকোন অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেলে অবশ্যই আমি আসবো। তখন সবার সাথে দেখা ও কথা হবে।

সিলেটের ডাক: শাবি’র একটি স্মরণীয় ঘটনা যদি বলতেন?
ড. জাফর ইকবাল: আমরা পদত্যাগ করে বাসায় আসলাম। ঐদিন সারারাত বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী বাসার বাইরের গেইটে দন্ডায়মান ছিলো। যদি আমরা ঢাকায় চলে যাই, তাহলে সে আমাদেরকে আটকাবে। পরদিন যখন সকালে ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য বের হলাম তখন ঐ ছাত্রীর সাথে দেখা। তখন সে রাত জাগার কারণ জানালে আমি হতবাক হয়েছি।

সিলেটের ডাক: অবসর সময়ের পরিকল্পনা জানাবেন কী?
ড. জাফর ইকবাল: প্রথম বছর রিলাক্স থাকবো এবং শুয়ে শুয়ে বই পড়ে সময় কাটাবো। এর বাইরে আপাতত আমার কোনো পরিকল্পনা নেই।

সিলেটের ডাক: স্যার, সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. জাফর ইকবাল: প্রিয় সিলেটবাসীর প্রতি আমার শুভকামনা থাকলো। তোমাকে ও সিলেটের ডাক পরিবারকে ধন্যবাদ।

উল্লেখ্য, ড. জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষক দম্পতির দু’সন্তানের মধ্যে পুত্র নাবিল ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষারত এবং কন্যা ইয়েশিম যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি করছেন।

প্রসঙ্গত, ড. জাফর ইকবালের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী ড. ইয়াসমীন হক, সিলেটের প্রধান আইন কর্মকর্তা এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, তাঁর কন্যা কলেজ শিক্ষক মুনতাহা আহমদ মিসবাহ, দৈনিক সিলেটের ডাক এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রোটারিয়ান ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ প্রমুখ।

 

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by :