নবীগঞ্জে উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুলাই ২০১৯, ১২:২৭ পূর্বাহ্ণএস এম আমীর হামজা, নবীগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দুটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে বিল স্বাক্ষর না করায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর জের ধরে গত ২৬ জুন উন্নয়ন সম্বনয় সভা ও আইন শৃংখলা সভা বর্জন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ। বিষয়টি সমাধান না হলে চেয়ারম্যান পরবর্তী সভায় যোগদান করবেন না বলে ঘোষনা দিয়েছেন তারা।
গত ৩০ জুন অর্থ বছরের হিসাব নিকাশ শেষ হলেও ঐ দুটি প্রকল্পের বিল ছাড় দেননি উপজেলা চেয়ারম্যান। ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যান তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। এই জন্য তারা উন্নয়ন সম্বনয় সভা ও আইন শৃংখলা সভা বর্জন করেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম জানান, তিনি কোন চেয়ারম্যানের সাথে বাজে ব্যবহার করেন নি। কোন অনিয়ম দুর্নীতি করেছেন প্রমাণিত হলে তিনি পদত্যাগ করবেন, তিনি কখনও কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ভুবিরবাক চৌশতপুর সড়কের খালের উপর কালভার্ট নির্মানে অনিয়ম হলে অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ প্রকল্পটির বিল এবং কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দার কান্দি গ্রামের অঞ্জন পুরকায়স্থের বাড়ির সামনে একটি সড়কে এলজিএসপি ও জেলা পরিষদের বরাদ্ধ দিয়ে কাজ করা হয়। কিন্তু ঐ সড়কের উপর এডিপি ফান্ডের বরাদ্ধ দেখিয়ে একটি ভুয়া বিল তোলার চেষ্টা করলে উপজেলা চেয়ারম্যান ঐ দুটি বিল আটক করে দেন। এ নিয়ে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এর জের ধরে তার ২৬ জুন উন্নয়ন সম্বনয় সভা ও আইন শৃঙ্খলা সভা বর্জন করেন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।
এ ব্যাপারে কালিয়ারভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আমি উক্ত সড়কের কাজ করেই বিল দিয়েছি। এক সড়কে তিনটি প্রকল্প হতেই পারে বিষয়টি বিস্তারিত এখন বলতে পারবো না।
কুর্শি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফারছু মিয়া কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে তিনি বলেন সরেজমিন পরিদর্শন করলেই সব পাওয়া যাবে।
ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ইজাজুর রহমান বলেন, তাদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান বাজে ব্যবহার করেছেন তাই তারা উন্নয়ন সমন্বয় সভা ও আইন শৃঙ্খলা সভা বর্জন করেছেন। উল্লেখিত দুটি প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্টদের সাথে বাজে ব্যবহার করেছেন। এখন কেউ ভুয়া বিল করার সুযোগ নাই। বিষয়টি সমাধান না হলে আমরা পরবর্তী সভায় যাবো না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা উপজেলা চেয়াম্যানের নির্দেশ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট দুটি ইউনিয়নের প্রকল্প পরিদর্শন করে অনিয়ম পাওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। -সিলেটভিউ