নৌকার এমপি ভোট চাইছেন আনারসে

বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০১৯, ৮:০০ পূর্বাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম, নরসিংদী।।
নরসিংদীর রায়পুরায় জমে উঠেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। এখানে অস্তিত্বের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের দুই প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
এই নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে (আনারস প্রতীক) সভা-সমাবেশ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান।
আওয়ামী লীগের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করছেন। আজ বৃহস্পতিবারও এমপি রাজু ডৌকারচরে সভা করেছেন। নৌকার এমপি হয়ে তিনি নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। কিন্তু স্থানীয় এমপি রাজু তার ছেলের জন্য মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে তারই পছন্দের প্রার্থী আব্দুস সাদেকের জন্য জোর তদবির করেন। পরে নিজের পছন্দের প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আব্দুস সাদেককে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেন এবং তার পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি অধীনস্থদের নির্দেশ দেন।
একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী জানান, মিজান চেয়ারম্যানের সঙ্গে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছেন এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক।
তার পক্ষে এমপি রাজিউদ্দিন রাজু সমস্ত শক্তি ও সমর্থক নিয়ে মাঠে রয়েছেন বলে সভা করে ঘোষণা দিচ্ছেন আনারসের প্রার্থী আব্দুস সাদেক। এমপি রাজুর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বাড়ি বাড়ি ঘুড়ে আনারস মার্কায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
রায়পুরা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, রায়পুরা অডিটরিয়ামে কর্মী সমাবেশ ডেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছেন এমপি রাজু। আজও ডৌকারচরে সভা করেছেন তিনি। নৌকার এমপি হয়ে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি । তাছাড়া এমপি রাজু একের পর এক আচরণবিধি লঙ্গন করে যাচ্ছেন। তার কারণে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে।
এ ব্যাপারে এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে মোবাইল ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে ফোন করার কথা বলে রেখে দেন।