বিয়ানীবাজারে যুবলীগের দু’কমিটি চূড়ান্ত, সহসাই ঘোষণা
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৯ অপরাহ্ণবিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত হয়েছেন। কমিটিতে স্থান পেতে জেলায় জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী । তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদনের জন্য দু’কমিটির রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলেই যেকোন সময় কমিটি ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতেই একথা জানিয়েছেন সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।
তিনি জানান, একেক ইউনিটে একজন আহ্বায়ক, ২ জন যুগ্ম আহবায়ক এবং কয়েকজন সদস্য রেখে কমিটি অনুমোদন হতে পারে। পরবর্তীতে দায়িত্বশীল এ সকল নেতারা ৫১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করবেন।
জানা যায়, যুবলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি হচ্ছে, এতোদিন এমন আলোচনা ছিল বিয়ানীবাজারের সর্বত্র। কিন্তু হঠাৎ করে ধূর্ত প্রকৃতির ‘আগন্তুক’ গুটিকয়েক কর্মী নিজেদেরকে আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক দাবি করে বেড়াচ্ছে। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘বিএনপি কানেকশন’ আছে এমন কেউ আহ্বায়ক হওয়া তো দূরের কথা, তাদের নাম কমিটিতে থাকবে কি-না সন্দেহ রয়েছে। ইতিমধ্যে দু’এক পদপ্রত্যাশী পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা দিবে এমন আশ্বাস দিয়ে জুনিয়রদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে বলেও খবর রটেছে। যা এখন বিয়ানীবাজারে ‘টক অব্য দ্য টাউন’।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা যুবলীগের কমিটির রূপরেখা সম্পর্কে তেমন একটা অবগত নন। এ কারণে ‘বিএনপি কানেকশন’ আছে এমন পদপ্রত্যাশীদের খবরে তারা মোটেও বিচলিত নয়। কমিটির বিষয়টি শুধুমাত্র তারা পর্যবেক্ষণে রাখছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। কমিটি ঘোষণার পর হয়তো তারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন।
বিয়ানীবাজারে দু’ইউনিট যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবেলা করতে হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই সামনে অগ্রসর হচ্ছেন সিলেট জেলা যুবলীগের দায়িত্বশীল দু’নেতা। তারা কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও পৌর যুবলীগকে অনেকটা শক্তিশালী এবং ঢেলে সাজাতে কাজ করছেন।
সূত্রমতে, পদ-পদবি পেতে জেলা যুবলীগের কাছে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কমপক্ষে একশ’ যুবলীগ নেতাকর্মী। পদপ্রত্যাশী তালিকায় রয়েছেন, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছঅত্র সংসদের সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম নিপু, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, জাহিদ আহমদ রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুহেল আহমদ রাশেদ ও ওয়াহিদুজ্জামান টিটন, হানিফ ইফতেখার, ইকবাল হোসেন একন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দু’বারের সদস্য কেএইচ সুমন, নাজমুল ইসলাম ফরহাদ, ছালেখ আহমদ, কামরান হোসেন, রায়হান খান, এসি পল্লব, বেলাল আহমদ, জাবেদ আহমদ, নাজিম উদ্দিন, সাব্বির আহমদ, মুর্শেদ আহমদ সুভাষ, শামীম আহমদ, সাজু আহমদ, রুমেল আহমদ প্রমুখ। তারা প্রত্যেকেই রাজনীতির মাঠে পরীক্ষিত। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ‘বিএনপি-জামায়াত কানেকশন’ নেই।
সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শামীম আহমদ বলেন, ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রনেতাদের দিয়ে একটি শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিএনপি-জামায়াত কানেকশন আছে, এমন কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। তিনি বলেন, যেকোন মুহূর্তে কমিটি আলোর মুখ দেখবে।