বিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম: অজস্র মানুষের অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানালো হলো পঞ্চখন্ডের শক্তিমান কবি ফজলুল হককে। আজ বুধবার বেলা ২টায় স্থানীয় পিএইচজি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে, কবি, সাংবাদিক ও গীতিকার ফজলুল হকের জানাজার নামাযে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে শরিক হন- শিক্ষাবিদ আলী আহমদ ও মজির উদ্দিন আনসার, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র জিএস ফারুকুল হক, সাবেক মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ জকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ জাফরী ও আতাউর রহমান, সাপ্তাহিক বিয়ানীবাজার বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ছাদেক আহমদ আজাদ, বিয়ানীবাজার সুজনের সভাপতি এডভোকেট মো. আমান উদ্দিন, পঞ্চখন্ড গোলাবিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ সাহেদ, সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নজরুল হোসেন, শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. জহির উদ্দিন, সাংবাদিক আব্দুল খালিক, ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার মাছুম আহমদ, সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, শিপার আহমদ পলাশ, প্রমুখ।
জানাজার নামাজের পূর্বে মরহুমের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বড় পুত্র নুরুল ফজল অলক তাঁর পিতার জীবন চলার পথে সকল ধরণের ভুল ভ্রান্তির জন্য সবার কাছে মার্জনা চান এবং পিতার রূহের মাগফেরাত কামনার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।
এদিকে, কবি ফজলুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন তাঁর একান্ত কাছের বন্ধু সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া তাপাদার ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক শামীম লোদী।
উল্লেখ্য, কবি ফজলুল হক গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪ টায় সিলেট নগরীর শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুখবরে দেশ-বিদেশে বসবাসরত শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অজস্র মানুষ শোকে মুহ্যমান হন।