পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নারীর লাশ রাতে থানা প্রাঙ্গণে রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে, হাওরে আগুনে পোড়ে নারী হত্যার খবর জানাজানি হলে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভীড় করেন। কেউ হেঁটে, আবার অনেকেই সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নিয়ে লাশ দেখতে আসেন। সন্ধ্যায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করা পর্যন্ত সেখানে মানুষের ভীড় ছিল। এলাকাবাসী নৃশংস এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লাশটি অজ্ঞাত কোনো নারীর। মরদেহটির শুধুমাত্র এক পায়ের পাতাতে মাংস লেগে ছিল। এছাড়া হাড় ব্যতীত পুরো শরীরের মাংস পোড়া এবং মাথায় ছিল লম্বা চুল। নারীর মুখ কাপড় দিয়ে বন্ধ ছিল। এজন্য প্রাথমিক ধারণা, অজ্ঞাত ওই নারীকে অন্যত্র শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর এই হাওরে এনে শুকনো খড় দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খুনিরা লাশের পরিচয় গোপন করতে এমন নৃশংস পথ বেছে নিতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনাটি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সংঘটিত হওয়ার আলামত পেয়েছে পুলিশ।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকে জানান, অজ্ঞাত মরদেহটি একজন নারীর। তার পরিচয় শনাক্তে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে অনেক তথ্য জানা যাবে।