অজামিল চন্দ্র নাথ, গোলাপগঞ্জ: গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১নং বাঘা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ব বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি অত্র এলাকায় সুনামের মাধ্যমে আলো ছড়িয়ে বহু গুনী ব্যক্তিদের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সম্প্রতি তুগাঁও খালের ভাঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকীর মুখে পড়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকায় রয়েছেন এলাকাবাসী।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ সাফল্য অর্জন করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ২০১৪-২০১৬ সালে দুটি করে সরকারী বৃত্তি লাভ করে এবং ২০০০ সালে ওই প্রতিষ্ঠান সিলেট জেলার শ্রেষ্ট বিদ্যালয় হিসাবে ভূষিত হয়। স্থানীয় জনগণের দানকৃত ৩০ শতক ভূমির উপর নির্মিত প্রতিষ্ঠানে ১০ শতক (স্থানীয়দের ধারণা) ভূমি খালের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে।
তাছাড়া বহু বাড়ীঘর বিলীন হওয়ার উপক্রম। স্থানীয় জনসাধারণ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও খালের ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে। তুড়–গাঁও খালের ভাঙ্গনে রক্ষা পাচ্ছেনা স্থানীয় সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের অফিস । শুষ্ক মৌসুমে ভাঙ্গন একটু কম হলেও বর্ষার দিনে বৃষ্টিতে ভাঙ্গন আরও প্রকট আকার ধারণ করে। এর ফলে কোমলমতি শিশুদের নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছেন বলে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ ফয়জুর রহমান।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ আহমদের সাথে কথা হলে তিনি বলে বিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ২৫২ জন। কিছু শিক্ষার্থী ভাঙ্গনের জন্য বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত রয়েছি। তুড়–গাঁও খালের ভাঙ্গন থেকে রক্ষা কল্পে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আবেদীন বলেছেন অনেক চেষ্টা করছেন বিদ্যালয় ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য।
তিনি জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বালু ভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার চেষ্টা করছেন কিন্তু তাতে তেমন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন বিদ্যালয় ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ১নং বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছানা মিয়া বলেন তুড়–গাঁও খালের ভাঙ্গন কবলিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ব বাঘা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতর বাঘা ইউনিয়ন পরিষদ রক্ষার জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় তিনি দাবী জানিয়েছেন। দাবীর প্রেক্ষিতে পাউবো ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোন পাচ্ছেন না বলে জানান।