শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে জঙ্গুগুয়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার চলনা গ্রামের মৃত বেনু মিয়ার তিন মেয়ে খায়রুন নাহার (৩৫), কামনা (২৪) ও তিশা (২২), ঢাকা বেইজিং ডাইং অ্যান্ড উইভিং ইন্ডাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজার ইয়াকুব আলীর ছেলে নোয়াব আলী (৫৪), এ ঘটনায় রুনা বেগম নামে আরো এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় প্রাইভেটকারটির চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটি কেটে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়, এ ঘটনায় আহত হয় একজন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারটিতে চালকসহ মোট পাঁচ জন ছিলেন। তারা ঢাকা থেকে ভৈরব ঘুরতে গিয়েছিলেন। বিকেলে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে মহাসড়কের জঙ্গুগুয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় আল মোবারক পরিবহন নামে সিলেটগামী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়। বাসটি প্রচণ্ড গতিতে অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গেলে প্রাইভেটকারটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেটকারটি কেটে হতাহতদের উদ্ধার করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাজল মিয়া জানান, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখি একটা প্রাইভেটকার একটি বাসের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে। বাসটি প্রাইভেটকারটিকে নীচে ফেলে ঠেলে অনেকদূর নিয়ে যায়। পরে এগিয়ে গিয়ে দেখি চার জনই মারা গেছেন। আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। গুরুতর আহত রুনা বেগমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।