বার্তা ডেস্ক: করোনার কারণে যখন গোটা পৃথিবীর অর্থনীতি থমকে গেছে, তখন বাংলাদেশের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে আয় করছেন। শুধু নিজে নয় আরও ২০০ মানুষের আয়ের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।
তাহা মাসুদ নামে এই কিশোরকে নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। বাফেলো নিউজ, ইয়াহু নিউজের মতো সংবাদমাধ্যম তাকে ‘বাংলাদেশের পরবর্তী ভবিষ্যৎ’ হিসেবে পরিচয় করিয়েছে।
তাহা ‘হোম অ্যাকাডেমি বিডি’ নামের একটি স্টার্টআপ তৈরি করে মাত্র কয়েক মাসের ভেতরে এভাবে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কোর্সের আয়োজন করছেন।
হোম অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইটে গিয়ে নানা ধরনের কোর্সের ক্যাটাগরি দেখা গেছে। এর মধ্যে ক্রিয়েটিভ আর্ট থেকে শুরু করে ডিজাইন, ফ্যাশন, মিউজিক পর্যন্ত রয়েছে।
ওয়েবসাইটে ফ্রি ভিডিও, পেইড কোর্স, স্টোরিটেলিং, মেন্টরশিপের মতো আরও পাঁচটি সেকশন আছে।
পেইড কোর্সগুলো নির্দিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে করানো হয়। তবে যারা গরিব তাদের জন্য কোনো টাকা লাগে না।
তাহার নতুন এই স্টার্টআপ থেকে এখনো অবশ্য আয় শুরু হয়নি। তিনি আয় করছেন মূলত ড্রপশিপিং, অ্যামাজন রিভিউ বিষয়ক অনলাইন পদ্ধতিতে কাজ করে। আর আলোচনায় এসেছেন নতুন স্টার্টআপ তৈরি করে।
তাহা মাসুদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি অধিদপ্তরের সঙ্গে ইতোমধ্যে তার যোগাযোগ হয়েছে। কয়েক দিনের ভেতরে একটা প্রজেক্ট জমা দিবো।
যেভাবে হোম অ্যাকাডেমির ভাবনা: ঢাকার উত্তরার ছেলে তাহা যখন আরও ছোট ছিলেন, তখন বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হওয়ার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সহজে কোর্স করার কোনো প্রতিষ্ঠান পেতেন না। এরপর এক সময় ইউটিউবে ভিডিও বানানো শুরু করেন। মন দেন ড্রপশিপিংয়ে (মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি)। পরে অ্যামাজনে নতুন সেলারদের রিভিউ লিখে দিয়েও আয় করতে থাকেন। এরপর আসে করোনা।
তাহা জানায়, ‘আমার মনে হয়েছে স্কিল ডেভেলপ করতে আমি যে অভাববোধ করেছি, সেটি নিয়ে কাজ করবো। কীভাবে অনলাইনে আয় করতে হয়, আমার কাছে অনেকে এটি জানতে চায়। তখন হোম অ্যাকাডেমির চিন্তা আসে। আমাদের এখন ৬০০ সদস্য আছেন। আর কোর্স কিনেছেন প্রায় ২০০ জন। অনেকে আয় শুরু করেছেন। স্টার্টআপে শুরুতে খুব বেশি আয় হয় না, সময় লাগে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর আয় আসে।