ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
তিনি জানান, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি গতকাল রোববার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫টার পরে ট্রাইব্যুনালে এসে পৌঁছায়। এ কারণে গতকাল পাঠানো সম্পন্ন হয়নি। আজ সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে মৃত্যুপরোয়ানা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কারাগার ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, আইনমন্ত্রণালয় এবং ঢাকা জেলা প্রশাসককে মৃত্যু পরোয়ানার আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত সহকারী জহিরুল ইসলাম জাহিদ ও অফিস সহায়ক তাপস চন্দ্র রায় লাল কাপড়ে পেঁচিয়ে দুটি মৃত্যু পরোয়ানাটি বহন করে নিয়ে যায়।
গতকাল রোববার জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া ২৪৫ পৃষ্ঠার পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।
রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘রায় প্রকাশ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করা না হলে ফাঁসি কার্যকরের আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
অন্যদিকে এ টি এম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কপি পাইনি। রায়ের কপি পেলে রিভিউ করব।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
গত ৩১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন আজহার। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ নম্বর অভিযোগে (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগে দণ্ড বহাল রাখেন। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।-সারাবাংলা