সিলেটে যুবলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০১৯, ৩:১৯ পূর্বাহ্ণসিলেট: সিলেট মহানগরের শাহপরান গেট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক কর্মকর্তাসহ চার পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ৩টিতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে খাদিমপাড়া ইউনিয়ন অফিসের সামনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফসর আহমদ ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আফসর আহমদ ও জাহাঙ্গীর আলম আগামী ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৯ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের সম্ভ্যাব্য ২ প্রার্থী খাদিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফসর আহমদ ও একই এলাকার রঞ্জিত গ্রুপের অনুসারী যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
দু’দিন আগে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় যাওয়ার সময় ওই দু’গ্রুপের মধ্যে একই এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় জাহাঙ্গীর গ্রুপের হামলায় আফসর গ্রুপের এক কর্মী আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে আফসর গ্রুপ মিছিল বের করলে আবার হামলা করে জাহাঙ্গীর গ্রুপের অনুসারীরা।
এ সময় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় জেলা যুবলীগের সদস্য বাবুল আহমদের ছোট ভাই রাসেল গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন পুলিশের এসআই সাখাওয়াসহ আরও ১০ জন।
আহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের বেশিরভাগ আফসর আহমদের অনুসারী বলে জানা গেছে। এদিকে সংঘর্ষের সময় ১টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, ৩টিতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
খবর পেয়ে মহানগরের শাহপরান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাত সাড়ে নয়টায় শাহপরান (র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ আরো ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।