সংসদে আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের স্মৃতিচারণ
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০১৯, ১২:৪০ পূর্বাহ্ণঢাকা: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করেছেন।
আলোচনার একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন বলে দাবি করেছেন। আগামীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দলের জন্মদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, পৃথিবীতে অনেক বড় বড় নেতা আসবেন, যাবেন কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা কোনো দিন আসবে না। তার হৃদয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছাড়া আর কিছু ছিল না। তিনি শুধু এশিয়া নয়, সারাবিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন।
তোফায়েল বলেন, দুটি স্বপ্ন নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। এক দেশের স্বাধীনতা, অন্যটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাকি কাজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন আমরা দেখেছিলাম বঙ্গবন্ধুই যেন শেখ হাসিনার বেশে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। প্রস্তাবিত বাজেট চমৎকার হলেও কিছু কিছু অসামাঞ্জস্য রয়েছে, তা ঠিক করার আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের জন্মদিনে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা- এক ও অভিন্ন। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে আমাদের দুঃখ থাকতো না, তাকে হত্যা করলো এ দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার বেঈমান মোশতাক- জেনারেল জিয়া গংরা। প্রমাণ আছে, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের এজেন্ট ছিল।
জিয়ার বাবা-মা কোনো দিন বাংলাদেশে আসেননি, তাদের কবরও পাকিস্তানে। আর খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকি জেনারেল জানজুয়ার আতিথ্য নিয়ে পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে ছিলেন। সে কারণে জানজুয়া মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া শোক বার্তা দিয়েছেন ও পাকিস্তানে গিয়ে তার মাজার পর্যন্ত জিয়ারত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবন দিয়ে আওয়ামী লীগকে গড়ে তুলেছেন। তার আদর্শ মেনে তার স্বপ্ন আমাদের পূরণ করতেই হবে। এতে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বে প্রবেশ করবে।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে আমির হোসেন আমু বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই লড়াই করছে আওয়ামী লীগ। দেশ ও জনগণের স্বার্থে ক্ষমতাসীন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কারণে দেশবাসী বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল।