দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ জুন ২০১৯, ১১:৩৪ অপরাহ্ণ
আবু হোসেন পরাগ : ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার ম্যাচ জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিথুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; এনগিডি ০/৩৪, ০/৫৭, ফিকোয়াও ২/৫২, মরিস ২/৭৩, মার্করাম ০/৩৮, তাহির ২/৫৭, ডুমিনি ০/১০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩০৯/৮।
মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার মরিস
ক্রিস মরিসকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের ফুলটস ছক্কায় উড়াতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন মরিস।
১০ বলে একটি চারে মরিস করেন ১০ রান। তার বিদায়ের সময় ৪৫ ওভার ৫ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৭৫ রান। জেপি ডুমিনি ৩৫ ও কাগিসো রাবাদা শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয়
নিজের পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এবার তার ফুলটসে কাভারে সাকিব আল হাসানের দারুণ ক্যাচে ফিরেছেন আন্দিলে ফিকোয়াও।
তিনি ১৩ বলে ৮ রান করে ফেরার সময় ৪২ ওভার ৫ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫২ রান। ২৩ রানে ব্যাট করা জেপি ডুমিনির সঙ্গী ক্রিস মরিস।
সাইফউদ্দিনের শিকার ডুসেন
বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন ফন ডার ডুসেন। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ডানহাতি পেসারের ফুল লেংথ বলে শট খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
৩৮ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ডুসেন করেন ৪১ রান। ৩৯ ওভার ১ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ২২৮ রান। ৮ রানে ব্যাট করা জেপি ডুমিনির সঙ্গী আন্দিলে ফিকোয়াও।
রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন ডুমিনি
আগের ওভারে নিয়েছিলেন ডেভিড মিলারের উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান নিজের পরের ওভারে পেতে পারতেন জেপি ডুমিনির উইকেটও। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ব্যাটসম্যান।
মুস্তাফিজের লেংথ বল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের প্যাডে আঘাত হানলে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ডুমিনি চান রিভিউ। হক আইতে দেখা যায়, বল স্টাম্প মিস করতে যেত। তখন ৪ রানে ব্যাট করছিলেন ডুমিনি।
মিলারকে থামালেন মুস্তাফিজ
দুবার সুযোগ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। তৃতীয়বার আর রক্ষা হয়নি ডেভিড মিলারের। তাকে ফিরিয়ে মূল্যবান উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারকে ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং এজ হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দারুণ ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৪৩ বলে ২ চারে ৩৮ রান করেন মিলার। তার বিদায়ের সময় ৩৫ ওভার ১ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০২ রান। ফন ডার ডুসেন ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান জেপি ডুমিনি।
জুটির পঞ্চাশ, দক্ষিণ আফ্রিকার দুইশ
ডেভিড মিলার ও ফন ডার ডুসেনের চতুর্থ উইকেট জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ, ৪৬ বলে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় সংগ্রহও ছুঁয়েছে দুইশ, ৩৪ ওভার ২ বলে।
৩৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০১ রান। মিলার ৪২ বলে ৩৮ ও ডুসেন ২৭ বলে ২৪ রানে অপরাজিত আছেন।
মিলারকে জীবন দিলেন সৌম্য
আক্রমণে ফেরা সাকিব আল হাসানকে ছক্কায় উড়াতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছিলেন ডেভিড মিলার। লাফিয়ে উঠে বলে হাত ছোঁয়ালেও তালুবন্দি করতে পারেননি সৌম্য সরকার। তখন ১২ রানে ব্যাট করছিলেন মিলার।
বিপজ্জনক ডু প্লেসিকে ফেরালেন মিরাজ
আক্রমণে ফিরেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ফাফ ডু প্লেসিকে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অফ স্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বলের লাইন মিস করে হন বোল্ড।
৫৩ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করেন ডু প্লেসি। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৫ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ তখন ২৬ ওভার ৪ বলে ৩ উইকেটে ১৪৭ রান। উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গী ফন ডার ডুসেন।
ডু প্লেসির আক্রমণাত্মক ফিফটি
মোসাদ্দেক হোসেনকে ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটি স্পর্শ করেছেন ফাফ ডু প্লেসি। ৪৫ বলে ফিফটি করতে ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।
মার্করামকে ফিরিয়ে সাকিবের রেকর্ড
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ৫৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনার দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন এইডেন মার্করামকে।
৫৬ বলে ৪ চারে ৪৫ রান করেন মার্করাম। তার বিদায়ের সময় ১৯ ওভার ৪ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০২ রান। ফাফ ডু প্লেসি ৩৪ ও ডেভিড মিলার শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
ওয়ানডেতে এটি সাকিবের ২৫০তম উইকেট। ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ম্যাচে ৫ হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের রেকর্ড গড়লেন এই ফরম্যাটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব মাইলফলক স্পর্শ করলেন ১৯৯ ম্যাচে।
সব মিলিয়ে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এই ডাবল ছুঁলেন সাকিব। আগের চারজন আব্দুল রাজ্জাক, জ্যাক ক্যালিস, শহীদ আফ্রিদি ও সনাৎ জয়াসুরিয়ার কেউই ২০০ ম্যাচের আগে এই ডাবল ছুঁতে পারেননি।
রান আউট করে মুশফিকের প্রায়শ্চিত্ত
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে কুইন্টন ডি ককের ক্যাচটা ফেলে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। বল তার গ্লাভসে লেগে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে। ডি কককে রানের জন্য ডাকেন এইডেন মার্করাম, তবে থেমে যান মাঝপথে। বল ধরে সরাসরি স্টাম্প ভাঙেন মুশফিক। ডি কক আর ফিরতে পারেননি, রান আউট।
৩২ বলে ৪ চারে ২৩ রান করেন ডি কক। তার বিদায়ে ভাঙে ৯ ওভার ৪ বল স্থায়ী ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। মার্করাম অপরাজিত আছেন ২৬ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসি।
বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
৬০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সুর বেঁধে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। মাঝে ১৪২ রানের বড় জুটিতে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ঝড় তুলে শেষের দাবি মিটিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। তাতে বাংলাদেশ পেয়েছে রেকর্ড সংগ্রহ।
৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে তো বটেই, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসেই সর্বোচ্চ স্কোর এটি। এবারের বিশ্বকাপেও কোনো দলের সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৫ সালে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩২২ রান। আর ওয়ানডেতে আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৫ সালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই প্রথম তিনশ ছাড়ানো রান করল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে কিম্বার্লিতে ৭ উইকেটে ২৭৮ রান ছিল আগের সর্বোচ্চ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিথুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; এনগিডি ০/৩৪, ০/৫৭, ফিকোয়াও ২/৫২, মরিস ২/৭৩, মার্করাম ০/৩৮, তাহির ২/৫৭, ডুমিনি ০/১০)।
জুটির পঞ্চাশ, দলের তিনশ
ষষ্ঠ উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। মাত্র ৩৫ বলে ছুঁয়েছে জুটির পঞ্চাশ। তাতে বাংলাদেশের রানও ছুঁয়েছে তিনশ।
৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩০২ রান। মাহমুদউল্লাহ ২৫ বলে ২৪ ও মোসাদ্দেক ১৯ বলে ২৬ রানে অপরাজিত আছেন।
সুযোগ হারালেন মুশফিকও
সাকিব আল হাসানের মতো সেঞ্চুরির সুযোগ হারিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। আক্রমণে ফেরা ফিকোয়াওয়ের শর্ট বল কাট করতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
৮০ বলে ৮ চারে ৭৮ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের সময় ৪২ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫০ রান। উইকেটে আছেন নতুন দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন
টিকলেন না মিথুন
দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোহাম্মদ মিথুন। তবে ইনিংস টেনে নিতে পারেননি বেশিদূর। ইমরান তাহিরকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে হয়েছেন প্লেড-অন।
২১ বলে ২১ রান করেন মিথুন। তার বিদায়ের সময় ৩৯ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪৩ রান। মুশফিকুর রহিম ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।
রেকর্ড জুটির পর ফিরলেন সাকিব
সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে ১৪২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন ইমরান তাহির। লেগ স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
৮৪ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় ৩৫ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১৭ রান। মুশফিকুর রহিম ৭১ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিথুন।
সাকিব-মুশফিকের ১৪২ রানের জুটি বিশ্বকাপে যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডেও ছিলেন মুশফিক। ২০১৫ বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শতরানের জুটি আছে আর দুটি।
চারে ফিফটি মুশফিকের
ব্যক্তিগত ৪৯ থেকে অফ স্টাম্পে আন্দিলে ফিকোয়াওয়ের শর্ট বল কাট করে পয়েন্টের ওপর দিয়ে দারুণ এক চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁতে ৬টি চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮২ রান। সাকিব ৬১ বলে ৫৭ ও মুশফিক ৫৪ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন।
সাকিব-মুশফিক জুটির সেঞ্চুরি
তৃতীয় উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ৯৫ বলে ছুঁয়েছে জুটির একশ। ওয়ানডেতে এই দুজনের এটি পঞ্চম শতরানের জুটি।
সাকিবের ফিফটি
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছেন সাকিব আল হাসান। ৫৪ বলে ফিফটি করতে ৫টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬৬ রান। সাকিব ৫৪ বলে ৫০ ও মুশফিকুর রহিম ৪৩ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন।
সাকিব-মুশফিক জুটির ফিফটি
তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ৫১ বলে ছুঁয়েছে জুটির পঞ্চাশ। যেখানে সাকিবের অবদান ২৮, মুশফিকের ২১, অতিরিক্ত থেকে এসেছে এক রান।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৮ রান। সাকিব ৪০ বলে ৩৬ ও মুশফিক ২৭ বলে ২২ রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের একশ
১৬ ওভারে দলীয় শতরান স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ। দলকে ভালো শুরুর এনে দেওয়ার পর আউট হয়েছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০০ রান। সাকিব ২৪ বলে ২১ ও মুশফিক ১৩ বলে ১০ রানে অপরাজিত আছেন।
শর্ট বলে ফিরলেন সৌম্য
প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে সৌম্য সরকারকে ফিরিয়েছেন ক্রিস মরিস। ডানহাতি পেসারের শর্ট বল পুল করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু বল তার গ্লাভসের ওপরের অংশে লেগে উঠে যায় উইকেটের পেছনে। সামনে এগিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণভাবে বল গ্লাভসবন্দি করেন উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক।
৩০ বলে ৯ চারে সৌম্য করেন ৪২ রান। তার বিদায়ের সময় ১১ ওভার ৪ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৫ রান। ৬ রানে ব্যাট করা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
তামিমের বিদায়ে ভাঙল জুটি
নবম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভেঙেছেন আন্দিলে ফিকোয়াও। ব্যাক অব লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল।
২৯ বলে ২ চারে ১৬ রান করেন তামিম। তার বিদায়ে ভাঙে ৫০ বল স্থায়ী ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। সৌম্য সরকার অপরাজিত আছেন ২১ বলে ৩৫ রানে। তিনে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।
তামিম-সৌম্য জুটির ফিফটি
উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ রান তুলেছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। সপ্তম ওভারে লুঙ্গি এনগিডির শেষ বলে তামিমের চারে পূর্ণ হয় জুটির পঞ্চাশ। এই ওভারের প্রথম দুই বলে দুই চার মারেন সৌম্য। এনগিডির আগের ওভারে সৌম্য চার মারেন আরো তিনটি।
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫০ রান। তামিম ২৭ বলে ১৬ ও সৌম্য ১৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের ভালো সূচনা
বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তামিম খেলছেন দেখেশুনে। সৌম্য যথারীতি আক্রমণাত্মক। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রানের খাতা খোলেন লুঙ্গি এনগিডিকে চার মেরে। পরে পঞ্চম ওভারে এনগিডিকে মারেন তিনটি চার। প্রথম দুটি পুল করে টানা দুই বলে। শেষ বলে এজ হয়েছিলেন, বল যায় দুই স্লিপের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারিতে।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৮ রান। সৌম্য ১২ বলে ১৮ ও তামিম ১৮ বলে ৮ রানে অপরাজিত আছেন।
খেলছেন তামিম
গত পরশু ওভালে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় বাঁ কবজিতে চোট পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ফলে প্রথম ম্যাচে তার খেলা নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। তবে শঙ্কা উড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলছেন দেশসেরা ওপেনার।
চোট কাটিয়ে খেলছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে পিঠে চোট পেয়েছিলেন এই পেস অলরাউন্ডার। সাব্বির রহমানকে পেছনে ফেলে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথম ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকতে হচ্ছে সাব্বির, রুবেল হোসেন, লিটন দাস ও আবু জায়েদ রাহীকে।
বাংলাদেশ দল
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নেই আমলা
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পাওয়া হাশিম আমলাকে আজ পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। তার জায়গায় এসেছেন ডেভিড মিলার। পরিবর্তন এসেছে আরো একটি। ডুয়ান প্রিটোরিয়াসের জায়গায় খেলছেন পেস অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল
কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, ফাফ ডু প্লেসি, ফন ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার, জেপি ডুমিনি, আন্দিলে ফিকোয়াও, ক্রিস মরিস, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ইমরান তাহির।
টস
টস জিতে বোলিং নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। লন্ডনের ওভালে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়।
বাংলাদেশের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা
দ্বাদশ বিশ্বকাপ শুরুর পর তিন দিন পেরিয়ে গেছে। ম্যাচ হয়েছে চারটি। এর মধ্যে অবশ্য বাংলাদেশের মাঠে নামা হয়নি। বাংলাদেশের অপেক্ষা ফুরোচ্ছে আজ। ওভালে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। যারা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সামনে স্রেফ উড়ে গেছে।
বিশ্বকাপ মিশনে বাংলাদেশ দল দেশ ছেড়েছে এক মাস হয়ে গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডে খেলেছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। যেখানে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। তাতে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের অপেক্ষারও অবসান হয়েছে।
ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ কয়েকদিন অনুশীলন করেছে ইংল্যান্ডের লেস্টারে। এরপর দল গেছে কার্ডিফে। সেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। গায়ানায় বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব মঞ্চে দুই দলের অন্য দুই ম্যাচেই অবশ্য বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০০৩ বিশ্বকাপে ব্লুমফন্টেইনে ১০ উইকেটে আর ২০১১ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল ২০৬ রানে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা
দুই দল এর আগে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে মোট ২০ বার। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৩টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭টি। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সবশেষ দেখায় ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছিল বড় ব্যবধানে। -রাইজিংবিডি