লিবিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে বাংলাদেশী অনেকসহ ২৯০ অভিবাসী উদ্ধার
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০১৯, ১০:৪৯ অপরাহ্ণআন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ার পশ্চিমে উপকূলীয় এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নারী ও শিশুসহ মোট ২৯০ জন অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে লিবিয়ার নৌবাহিনী। দুটি ভিন্ন অভিযানে এই অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে তথ্য নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে লিবিয়ার নৌবাহিনী। ‘সিনহুয়া’
উদ্ধারকৃত অভিবাসীরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক। উদ্ধারের পর তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও মানবিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে নৌবাহিনীর ঐ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১৬০ কিলোমিটার পূর্বের শহর জিলিতিন সিটির উপকূলীয় অঞ্চলে। এই অভিযানে দুটি পাচারকারী নৌকা থেকে মোট ২০৩ জনকে উদ্ধার করে লিবিয়ার নৌবাহিনী।
দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে গারাবুল্লি শহরের উপকূলীয় অঞ্চলে। এই অভিযানে প্রায় ডুবতে যাওয়া একটি ভাঙা নৌকা থেকে ৮৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে উত্তর আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ইউরোপ প্রবেশের জন্য মানবপাচারকারীদের কাছে লিবিয়া একটি প্রধান বন্দর হিসাবে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই লিবিয়ার অধিবাসী শিবিরে বাড়ছে অভিবাসীদের সংখ্যা। শিবিরে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার অভিবাসী যাদের লিবিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী সমুদ্র উপকূল থেকে গ্রেফতার বা উদ্ধার করেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংগঠন (আইওএম) বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক বিবৃতিতে বলেছে, লিবিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল থেকে উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের এখন নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করানো সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ নির্ধারিত সরকার ও হাফতার বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে লিবিয়ার কোনো বন্দরই এখন নিরাপদ নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা( ডব্লিও টি ও) এর তথ্য মতে, এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫১০ জন মারা গেছে এবং ২৪৬৭ জন আহত হয়েছে।