ইটালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবে সিলেটের ১৫জনের মৃত্যু
বিয়ানীবাজার বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০১৯, ১:৪১ পূর্বাহ্ণডেস্ক রিপোর্ট: স্বপ্নের দেশ ইউরোপে পাড়ি জমাতে নৌকা ডুবে সিলেটের ১৫জনসহ বহু বাংলাদেশী মারা গেছেন। এর মধ্যে সিলেটের ৬জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই-শামীম আলম ও সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক-মাসুদ আহমদ এর ছোট ভাই-মারুফ আহমদ,ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদ পুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ ( ২৫) একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪) এবং সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪)। এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের দিনপুর গ্রামের আরেকজন নিহত হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায় নি। এছাড়াও মৃত্যুর তালিকায় আরও কয়েকজন সিলেটী থাকতে পারেন বলে জানাযায়।
তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগরে এক নৌকা ডুবিতে নিহত প্রায় ৬০ জন অভিবাসীর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশী নাগরিক।
বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টক জানিয়েছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লিবিয়ার উপকুল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইটালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোটো একটি নৌকায় তোলা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিমকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, রাবারের তৈরি ‘ইনফ্লেটেবেল’ নৌকাটি ১০ মিনিটের মধ্যে ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানায়, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিল। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশী। যে ১৬ জনকে শনিবার সকালে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের একজন আহমেদ বিলাল, বাড়ি সিলেটে। এই নৌকায় আরো কয়েকজন সিলেটী ছিলেন বলে জানা গেছে।
ত্রিপলিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী বলেন, তারা দুর্ঘটনার কথা জানেন এবং তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের যোগাযোগ চলছে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তারা জারযিজে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, লিড়াই চলার কারণে সড়কপথে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা বলে তাদের আকাশপথে যেতে হবে।
অভিবাসীদের ভাষ্যমতে, নৌকাটিতে ৫১জন বাংলাদেশী ছাড়াও তিনজন মিশরীয় এবং মরক্কো, শাদ এবং আফ্রিকার অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল।
এ বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১৬৪ জন মারা গেছে বলে জাতিসংঘ বলছে।