সিলেট: সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের পাইকারগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়ার উপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী আফজাল-ছয়ফুলসহ চার আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
সোমবার সিলেট জেলা সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিচারক তা নাকচ করে দেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন আসামিরা। হাইকোর্ট তাদেরকে দুই সপ্তাহের জামিন দিয়ে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সোমবার মামলার এজহারে উল্লেখিত ৬ আসামির মধ্যে ৪জন আসামি সিলেট জেলা সিনিয়র দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কারাগারে প্রেরিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার পাইকারগাঁও গ্রামের আব্দুল মুছব্বিরের পুত্র আফজাল (৩৮), তার ভাই ছয়ফুল (২৮), একই গ্রামের নিশমত আলীর পুত্র লেচু মিয়া (৪৮) এবং রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র জাবেদ (৩৪)। তবে, মামলার অপর দুই আসামি দক্ষিণ সুরমার গকুলপুর গ্রামের ঠাকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল আহাদ (৩৮), একই গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র রাবেল হোসেন (২৫) আদালতে হাজির হননি।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন পাইকারগাঁও এর মৃত উস্তার আলীর পুত্র সিরাজ মিয়া। বাইপাস এলাকায় পৌঁছামাত্র ছিনতাইকারি গ্রামের আব্দুল মুছব্বিরের পুত্র আফজাল (৩৮) ও ছয়ফুল (২৮) এর নেতৃত্বে কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। সারা শরীরে চাকু দিয়ে কুপ এবং মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে সিরাজ মিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এসময় ছিনতাইকারিরা তার সব টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা সিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার ক্ষতবিক্ষত শরীরে ৮২টি সেলাই প্রয়োজন হয়।