ঢাকা: প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে বাদ জোহর গ্রিন রোড ডরমিটরি জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে এসে পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে বরেণ্য এই সাংবাদিকের মরদেহ গ্রহণ করেন মাহফুজ উল্লাহর বড় মেয়ে মুসাররাত হুমায়রা অঙ্গনা, ছেলে মুজতবা হাবীবসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
বিমানবন্দর থেকে মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুলে গোসল শেষে তার গ্রিন রোডের বাসায় নেওয়া হয়।
গতকাল সকাল ১০টা ৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। কিডনি, ফুসফুস ও হার্টের বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন তিনি।
গত ২ এপ্রিল সকালে ধানমন্ডির গ্রিন রোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মাহফুজ উল্লাহকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ১০ এপ্রিল মাহফুজ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাহফুজ উল্লাহ শুধু বাংলাদেশের খ্যাতিমান সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি একাধারে লেখক, কলামিস্ট, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশবিদ ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটর ছিলেন। এ ছাড়া নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরামের উপদেষ্টা ছিলেন। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম পরিবেশ সাংবাদিকতা শুরু করেন।
১৯৫০ সালের ১০ মার্চ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দেশের এই খ্যাতিমান সাংবাদিক।