বিয়ানীবাজার: দক্ষিণ সুরমা থেকে গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের চোরাইকৃত ব্যাটারিসহ ৩জনকে আটক করেছে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিলেট সদরের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন পিরোজপুরস্থ সজিব অটো মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শরীয়তপুরের (বর্তমানে উপশহর, এইচ ব্লক) বাসিন্ধা মো. মুজিবুর রহমান (৩৪), হবিগঞ্জের (বর্তমানে ভার্তখলা এলাকা) মো. জাকারিয়া (৩০), নেত্রকোনা জেলার (বর্তমানে ভার্তখলা এলাকা) বাসিন্ধা মো. লুতু মিয়া করিম (৩২)।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বিয়ানীবাজার থানার ১৪ নং মামলার প্রেক্ষিতে ধারা-৩৮০/৪১১ পেনাল কোড অনুযায়ী বিয়ানীবাজার থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মহসিন কবীর এজাহার নামীয় আসামি মো. কামরুল আলমকে আটক করেন। শুক্রবার মামলার অপর আসামি সাদিকুল আলম শামীমকে তার পৌরশহরের দাসগ্রামস্থ বসতবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা ও মিডিয়া অফিসার মো. মাহ্বুবুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ ব্যাটারী চোরচক্র। তারা রাতের বেলা বিভিন্ন মোবাইল ফোন টাওয়ার থেকে মূল্যবান ব্যাটারী চুরি করে সিলেট শহরসহ দেশের বিভিন্ন চোরাই মার্কেটে বিক্রি করতো। জিজ্ঞাসাবাদে এই দুই আসামি জানায় চোরাইকৃত গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের ব্যাটারীগুলো সিলেট সদরের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন পিরোজপুরস্থ সজিব অটো মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ নামক দোকানে রাখা আছে। এরই প্রেক্ষিতে সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান এর দিক-নির্দেশনায় জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) সজল কুমার কানুর নেতৃত্বে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ দক্ষিণ সুরমা থানাধীন পিরোজপুর গ্রামস্থ সজিব অটো মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, অভিযানকালে উক্ত ওয়ার্কশপের শাটারটি উপরে তুলে ভিতরে আটককৃত তিনজন আসামিকে চোরাইকৃত ব্যাটারীগুলো চটের বস্তায় প্যাকেটিং করতে দেখতে পায় পুলিশ। ওই সময় আসামিদের নিকট থেকে গ্রামীণ ফোন টাওয়ারের ৪৮টি ব্যাটারী ও পূর্বে উদ্ধারকৃত ১২টি ব্যাটারীসহ মোট ৬০টি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়। যার অনুমান বাজার মূল্য ৯ লক্ষ টাকা। সংঘবদ্ধ চোরচক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।