ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি কখনো প্যারোলে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করেনি। এসব অবান্তর তথ্য। কিছু মিডিয়ায় এসেছে এমন তথ্য। এসব গুজব, মিডিয়ার সৃষ্টি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা সংসদে যাবেন এমন তথ্যও সঠিক নয়।
তিনি বলেন, সরকারের মধ্যে অনেক এমপি-মন্ত্রী আছেন যারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েও মুক্ত আছেন। অথচ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার তাকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে কারাগারে রেখেই মারতে চাচ্ছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে।
কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নিহত বাচ্চু মিয়ার পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক নেতাকর্মীর পরিবারকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শনিবার বিকেলে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীর বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে চিন্তা ভাবনা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আওয়ামী লীগ সে চিন্তা-চেতনাকে শেষ করে দিয়েছে। তারা গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। পিস্তল, বন্দুকের জোরে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় তারা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে দেউলিয়া দলে পরিণত হয়েছে। শেখ মুজিব বাকশাল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। এখন তারা বাকশালী কায়দায় মানুষের গণতান্ত্রিক সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছি বিশ্বাস করি না। আমরা নির্বাচনে না গেলে আওয়ামী লীগ যে একটি জনবিচ্ছিন্ন দল তা জনগণের কাছে প্রমাণিত হতো না। ১৯৭১ সালের দখলদার সরকার ও ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার সরকার থেকেও আওয়ামী লীগ সরকার ভয়ঙ্কর। তাই হরতাল-অবরোধ নয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
ঐক্য সংহতি পরিষদ এবং কুমিল্লা-১০ সংসদীয় আসনের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ ও কবির মুরাদ, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল খান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আহমেদ প্রমুখ।