বাগেরহাট: রামপাল, ফকিরহাট ও সদর উপজেলায় তিন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় এক মাদরাসার অধ্যক্ষসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রামপাল উপজেলার মাদরাসার ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফেরদাউস ও ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার কাজে সহযোগিতার অপরাধে গ্রেফতার হন অধ্যক্ষ শেখ ওয়ালিউর রহমান।
শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে তাদের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রীর মামা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে রামপাল থানায় মামলা করেন।
রামপাল থানা পুলিশের ওসি লুৎফর রহমান বলেন, মাদরাসাছাত্রীর ওপর নির্যাতনকারী ধর্ষক ফেরদাউস মোল্লাকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অপরাধে রামপাল সরাফপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শেখ ওয়ালিউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় মহিলা হোস্টেলের সুপারসহ আরেক নারীকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার অপর দুই নারী আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শরাফপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদরাসার সামনে দোকান দেয়ার সুবাদে হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করা তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে ফেরদাউস মোল্লা। ১১ এপ্রিল রাতে ওই ছাত্রীকে দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এছাড়া ফকিরহাটে তিন বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে আরমান শেখকে (১৬) গ্রেফতার করা হয়েছে। আরমান উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের হাবি শেখের ছেলে।
শিশুটির বাবা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে চকলেট দেয়ার প্রলোভন দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে আরমান। পরে মেয়েটি অসুস্থবোধ করলে তার মা ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত বিচারের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাহিদ শেখ বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে, বাগেরহাট শহরের হরিণখানা এলাকায় সৎবাবা কর্তৃক ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আলমগীর সেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ওসি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, সৎমেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আলমগীর সেখের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ২৭ মার্চ থেকে চলতি মাসের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে সৎবাবা। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।