Saturday, 1 April, 2023 খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |




বিশ্বকাপ দলে সিলেটের রাহি

স্পোর্টস ডেস্ক: তাসকিন আহমেদ নাকি শফিউল ইসলাম, পঞ্চম পেসার হিসেবে কে ঠাঁই পাবেন বিশ্বকাপ দলে? এমন আলোচনা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। অথচ তাদের হটিয়ে কোনো ওয়ানডে না খেলা আবু জায়েদ রাহি চলে এসেছেন ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। সবার মতো এ পেসার নিজেও বিস্মিত বিশ্বকাপ দলে থাকার খবরে।

‘অবশ্যই বিস্ময়কর ছিল। আশা করেছিলাম যে, ২০ জনের মধ্যে থাকবো। মিরপুরে প্রিমিয়ার লিগের দুটি ম্যাচ খুব ভালো হয়েছে। তখন মনে হয়েছিল যে ২০ জনের ভেতরে থাকবো। যখন শুনলাম ১৫ জনের মধ্যে আছি, তখন আরেকটু বেশি বিস্মিত হয়েছি।’

বাউন্সি উইকেটে সুইং করানোর দক্ষতা আছে বলেই রাহিকে স্বপ্নের বিশ্বকাপ দলে টেনেছেন নির্বাচকরা। তাকে দলে রাখার পেছনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বললেন, ‘নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে সে (রাহি) টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল, ওয়ানডে খেলার সুযোগ হয়ত পায়নি। তবে সেই কন্ডিশনে আমরা যতটা দেখেছি, ওর বোলিংয়ে যথেষ্ট সুইং আছে।’

টেস্ট খেলতে খেলতে চলে এলেন স্বপ্নের বিশ্বকাপ দলে। তাতে বিস্মিত রাহি। এবার একাদশে সুযোগের অপেক্ষায় সিলেটের এ পেসার, ‘আসলে রোমাঞ্চটা এতবেশি না। সেটা হবে যখন সেরা একাদশে ঢুকতে পারবো।’

‘আমাদের পেসারদের মধ্যে সুইং বোলারের সংখ্যা বেশ কম। যেহেতু ইংলিশ কন্ডিশনে খেলা, আয়ারল্যান্ডেও ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। আর মে এবং জুন মাসের দিকে ঠাণ্ডাও বেশি থাকে। তাপমাত্রাও অনেক কম থাকে। সেই হিসেবে পেসারদের মধ্যে সুইং বোলার কাউকে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, তাহলে সেটি আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া। সেই চিন্তা করে রাহিকে দলে রাখা হয়েছে।’

রাহি নিজেও মুখিয়ে আছেন ইংল্যান্ডের মাটিতে সুইংয়ের ঢেউ তুলতে, ‘ঐসব দেশে বোলিং করা আমাদের জন্য আদর্শ বলতে গেলে। এসব দেশে বল সুইং করানো যায়। আর যেহেতু আমার মূল অস্ত্র সুইং, সুতরাং আমি আশাবাদী।’

ইংল্যান্ডের সঙ্গে রাহির সখ্যতা বেশ পুরনো। ২০০৯ সালে হঠাৎ করেই ক্রিকেট ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন সেখানে। ভেবেছিলেন ক্রিকেট খেলে কিছু হবে না। তবে সেখানে বেশিদিন মন টেকেনি। মাঠ ছেড়ে থাকা তার জন্য হয়ে পড়ে অসম্ভব! তাই ফিরে আসেন দেশে, নেমে পড়েন বল-ব্যাট হাতে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরিয়ে সুযোগ পান প্রথম শ্রেণিতে খেলার।

পরে বিপিএলে প্রথম সুযোগেই করেন বাজিমাত। ঘরোয়া ক্রিকেটের ধারাবাহিক পারফর্মারের তকমা নিয়ে চলে আসেন টেস্ট দলে। ওয়ানডে ক্যাপ না পরেও এবার পেয়ে গেলেন বিশ্বকাপের টিকিট। বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে হওয়ায় আলাদা রোমাঞ্চও তার, ‘ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে। এরপর প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে। তাই ইংল্যান্ডে খেলার ইচ্ছা অনেক বেশি।’

 

Developed by :