ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন মামলার অন্যতম দুই আসামি নুরুদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম।
রোববার (১৪ এপ্রিল) আদালতে দেয়া দীর্ঘ জবানবন্দীতে তারা জানিয়েছেন, আগুন দেয়ার আগে শাহাদাত, জোবায়ের ও জাবেদ বোরকা পরে টয়লেটে লুকিয়ে ছিল। আর সিঁড়ির কাছে তখন লুকিয়ে ছিল নুরুদ্দিন।
নুরুদ্দিনের সিগন্যাল পেয়ে শাহাদাত দৌঁড়ে গিয়ে রাফির মুখ চেপে ধরে। জোবায়ের ও জাবেদ তখন ওড়না দিয়ে রাফির হাত বাঁধে। পপি ও মণি রাফির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার পরপরই অন্যরা পালিয়ে গেলেও পপি ও মণি মাদ্রাসাতেই অবস্থান করে। এমনকি সেদিন তারা আলিম পরীক্ষায়ও অংশ নেয়।
এছাড়া নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার বিষয়ে সব জানতেন সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন। ঘটনার পর শাহাদাত হোসেন শামীম রুহুল আমিনকে ফোন করেন।
তখন রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি জানি, তোমরা পালিয়ে যাও।’
রোববার ফেনীর আদালতে বেলা ৩টা থেকে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের দু’জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।