চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রোববার (৭ মার্চ) থেকে ৪ দফা দাবিতে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাতটায় আনন্দোলনে নামে।
অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের ৬ কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তিসহ চার দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটক বন্ধ করে রেখেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।দুপুর ১২টার সময় হঠাৎ পুলিশ এসে তা দূর করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষক বাসের চাকা পানচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের হুইস পাইপ কেটে দেয় অবরোধকারীরা। এ ছাড়াও সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী হলের মোড় পর্যন্ত ব্যারিকেড দিয়ে রাখে তারা। পরে পুলিশ এসে ব্যারিকেড সরিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেতরে সব দোকানপাটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস সমকালকে বলেন, অস্ত্র মামলায় আটক ছাত্রলীগ কর্মীদের মুক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগ সহ ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের অবরোধে সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
চবি ছাত্রলীগের ৪ দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীকে পদত্যাগ করতে হবে; হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে পদত্যাগ করতে হবে; গত ৩ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় আটক চবি ছাত্রলীগের ৬ কর্মীকে মুক্তি দিতে হবে এবং ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
অবরোধের কারণে এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে ক্লাস বন্ধ রয়েছে, বাতিল করা হয়েছে পরীক্ষা।