ঢাকা: জিএম কাদের ইস্যু নিয়ে খোদ রংপুরেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের ঘনিষ্ঠ নেতারা। ইতিমধ্যেই গণপদত্যাগের হুমকি দেওয়া নেতাদের শান্ত করার চেষ্টা চলছে। এরশাদ ও রওশন ফোন করে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে এরশাদের আস্থাভাজন নেতা হিসেবে পরিচিত পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, আমাকে ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) ফোন করেছিলেন। তিনি মাথা গরম করতে নিষেধ করেছেন। বলেছেন, তোমার স্যার (এরশাদ) এটা করেছেন। উনি অসুস্থ চাপ দিও না আমি করিয়ে নিচ্ছি। প্রত্যুত্তরে আমি তাকে বলেছি, আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছি, একটা ফিডব্যাক পেতে হবে। না হলে গণপদত্যাগ ছাড়া ফিরছি না।
রসিক মেয়র আরো বলেন, স্যারও (এরশাদ) ফোন করেছিলেন আমাকে। বলেছেন ওভার টেলিফোনে আলাপ করা সম্ভব না। তুমি ঢাকায় এসে দেখা কর। তোমার সঙ্গে কথা আছে।’
মোস্তফা বলেন, আমরা আট জেলার নেতারা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। জিএম কাদেরকে যদি কো-চেয়ারম্যান পদে পুনঃবহাল না করা হয় তাহলে প্রথমে গণপদত্যাগ এরপর জাপার কার্যক্রম প্রতিহত করা হবে। এখান থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। এটা জাপার অস্তিত্বের প্রশ্ন। কিছু নেতা রয়েছে যারা জাপাকে ধ্বংস করে নিজেদের পকেট সংগঠন করতে চায়। আমরা এটা হতে দিতে পারি না।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে বিরোধী দলের উপনেতা ও জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। আমাদের মধ্যে কোনও বিভক্তি নেই। তার যে কোনও সিদ্ধান্ত পার্টির সবাই মেনে নেন।
জাপার বিভেদ নিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, আমরা সবাই এক, কোনও বিভেদ নেই।
যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ অনেকে।