আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অটিস্টিক প্রতিবন্ধীরা আমাদের বোঝা নয়। তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগাতে পারলে তারাই হবে আমাদের সম্পদ। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরা এবার ২২টি স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। তাদের জন্য মিরপুরে ক্রীড়া কমপ্লেক্স করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিটি জেলায় পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। বাবা-মা না থাকলেও এই পরিচর্যা কেন্দ্রে তারা যেন যত্ন নেয়।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১২তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী সভাপতি রাশেদ খান মেনন বক্তব্য রাখেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ। অটিজম ও প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখা ও প্রতিবন্ধীদের কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য ১১ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নীল বাতি প্রজ্জ্বলন করেন। এ সময় ‘আমরা করবো জয়’ গানটি বেজে ওঠে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির অধিকার’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের আঁকা ছবি দিয়ে আমি প্রতিবছর ঈদ কার্ড করি। যাদের ছবি দিয়ে এই কার্ড করি তাদেরকে পারিশ্রমিকও দেয়া হয়। প্রতিবন্ধীরা যাতে ভালোভাবে চলতে পারে সে জন্য ট্রাস্টে বৃত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষায় ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩’ এবং ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮’ অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকারবিষয়ক কর্মপরিকল্পনা ২০১৯ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অটিজমবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন আমার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।