Sunday, 26 March, 2023 খ্রীষ্টাব্দ | ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |




বঙ্গবন্ধুর খুনি সিলেটের নূরকে ফেরাতে কানাডার আদালতে শুনানি

বিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম ডেস্ক।।।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য কানাডার আদালতে করা মামলার শুনানি হয়েছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কানাডার ফেডারেল আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নূর চৌধুরীর অবস্থান এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে গেলো বছরের ৬ জুলাই মামলাটি করা হয়।

ইতিহাসের এই নৃশংস খুনি নূর হোসেনের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই (উম্মরকবুল) গ্রামে।  সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই গ্রামে নূর চৌধুরীর পরিবারের স্মৃতি হিসেবে রয়েছে কেবলমাত্র একটি ছোট্ট ঘর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ওই বাড়িতে নূর চৌধুরীর পরিবারের আর কারও পা পড়েনি। নূর চৌধুরীকে এলাকার নতুন প্রজন্মরা না দেখলেও তাকে জানেন ইতিহাসের এক ঘৃণিত খুনি হিসেবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগ। এরও ১৪ বছর পর ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফাঁসি কার্যকর হয় পাঁচ ঘাতকের। উচ্চ আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন মোট ১২ ঘাতকের। দণ্ড কার্যকর হওয়া পাঁচজন বাদে বাকিদের মধ্যে আজিজ পাশা মারা গেছেন বিদেশে। আর আবদুর রশিদ, মোসলেম উদ্দিন, শরীফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী এবং আবদুল মাজেদ পলাতক। এদের মধ্যে নূর চৌধুরী রয়েছেন কানাডায়।

কানাডায় পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর শরণার্থী সংক্রান্ত একটি আবেদন ২০০৪ সালে খারিজ করে দেন দেশটির আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ২০০৭ সালে নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত।

এরপর নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরাতে গত বছর কানাডার ফেডারেল আদালতে মামলা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স। সোমবার দেশটির ফেডারেল আদালতে যার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের আশা, শুনানি শেষে নূর চৌধুরীর অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে। তরান্বিত হবে দেশে ফেরত এনে সাজা কার্যকরের প্রক্রিয়া।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে ২০১০ সালে পাঁচজনের সাজা কার্যকর হয়। বাকিদের মধ্যে, খুনি রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে। তাকে ফেরত আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলমান। খুনি আব্দুর রশিদ পাকিস্তানে এবং শরিফুল হক ডালিম লিবিয়া অথবা জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করছে। খুনি রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ জার্মানিতে আছে বলে মনে করা হয়। এছাড়া হত্যাকারী আব্দুল মাজেদের অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আরেক খুনি আজিজ পাশা মারা যায় জিম্বাবুয়েতে পলাতক থাকাকালীন।

 

Developed by :