বিয়ানীবাজারবার্তা২৪.কম।।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও শাহপরান হলের সামনে শাবি ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ও সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান জিয়ার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছুড়াছুড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জাহিদ হাসান, সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল ও আইপিই বিভাগের শিক্ষক মাহাথির মোহাম্মদ আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেলে ৩টায় জুনিয়র-সিনিয়রের মধ্যে বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয় গ্রুপের কর্মীরা। এ সময় বঙ্গবন্ধু চত্বরে জিয়া গ্রুপের কর্মী সোহেল রানাকে মারধর করে সাখাওয়াতের অনুসারীরা। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহপরান হলের সামনে জিয়া গ্রুপের কর্মীরা সাখাওয়াতের অনুসারী আব্দুল বারী সজিব ও মাহবুবুর রহমানকে মারধর করে।
বর্তমানে সাখাওয়াত গ্রুপের আব্দুল বারী সজিব ও রেজাউল করিম তানভীর এবং জিয়া গ্রুপের সোহেল রানা, সাব্বির ও মামুন শাহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শাবি ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার মোট সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে মুশফিকুর রহমান জিয়া বলেন, সাখাওয়াতের অনুসারীরা আমার কর্মীদের আগে মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে বিষয়টি হল পর্যন্ত গড়ালে আমি আমার কর্মীদের শান্ত করে বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জাহিদ হাসান বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমিসহ আমার আরও দুইজন সহকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।